PM Awas Yajana, Central Team: আবাস তদন্তে এসে ষাঁড়ের তাড়া! বরাতজোরে বাঁচল কেন্দ্রীয় দল...
অভিযোগ, যাঁর পাকা বাড়ি, তাঁর নাম উঠেছে আবাস যোজনার তালিকায়। আর ছাউনির নিচে যাঁর দিনে কাটে, তিনি ঘর পাননি! জেলায় জেলায় ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা।
রণজয় সিংহ ও সুতপা সেন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবাসে 'দুর্নীতি'। এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য়রা। গ্রামবাসীদের কথা বলে তথ্য যাচাই করছেন তাঁরা। আচমকাই শিং উঁচিয়ে তেড়ে এল ষাঁড়! ঘটনাস্থল, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর।
প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনায় কারা বাড়ি পাবেন? তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিপাকে রাজ্য সরকার। অভিযোগ, যাঁর পাকা বাড়ি, তাঁর নাম উঠেছে তালিকায়। আর ছাউনির নিচে যাঁর দিনে কাটে, তিনি ঘর পাননি! কেন? অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ঘুরছেন সেই দলের সদস্যরা।
এদিন প্রথমে মালদহের কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকে যায় কেন্দ্রীয় দল। বিডিও অফিসের বৈঠকের পর, গ্রামের দিকে রওনা দেন ২ প্রতিনিধি। সঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক। অভিযোগ, এলাকার এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও রেশন ডিলারেরও নাকি নাম উঠেছে আবাসের তালিকা! দু'জনের সঙ্গেই কথা বলেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্য়রা।
পরবর্তী গন্তব্য, হরিশ্চন্দ্রপুর দু'নম্বর ব্লক। ততক্ষণে বিকেল গড়িয়ে গিয়েছে। ভালুকা বাজারে হাজির হয় কেন্দ্রীয় দল। তদন্ত ধরা পড়ে 'বেনিয়ম'। দেখা যায়, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে যিনি প্রার্থী ছিলেন, সেই তৃণমূল কৈলাস মাঝির নামও রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়! সঙ্গে বিজয় মহালদার নামে আরও ব্যক্তির। গ্রামেই পাকা বাড়ি রয়েছেন তাঁর।
আরও পড়ুন":Jhalda Municipality: বিপাকে কংগ্রেস, পুরসভা দখলের ৩ দিন পরেই কাউন্সিলর পদ খারিজ চেয়ারম্যানের
তারপর? হরিশ্চন্দ্রপুর ২নং ব্লকেরই মহালদার পাড়ায় একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে, সেই বাড়িরই মালিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন কেন্দ্রীয় দলের দলের দুই সদস্য। সঙ্গে ছিল পুলিসও। আচমকাই কেন্দ্রীয় দলের দিকে তেড়ে আসে একটি ষাঁড়! মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিসকর্মীদের তৎপরতা কোনওমতে ষাঁড়ের গুঁতো থেকে রক্ষা পান কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা।
এদিকে একশোর দিনের কাজ খতিয়ে দেখতেও এবার রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। ১২ জেলায় ঘুরবেন সেই দলের সদস্য়রা। কোন কোন জেলা? পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বীরভূম, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা ও হুগলি।