'প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতেই বসিরহাট যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা!'

পুলিসের বাধায় ভেস্তে গেল বিরোধীদের বসিরহাট যাওয়ার পরিকল্পনা। বসিরহাট থেকে বহু দূরে, কংগ্রেস-বিজেপি-বামেদের আটকে দিল পুলিস। বিরোধীদের দাবি, শান্তির লক্ষ্যেই তাঁরা হিংসা কবলিত এলাকায় যেতে চান। গা-জোয়ারি করে পুলিস তাঁদের আটকে দেয়। গোলমাল পাকাতেই বসিরহাট যাত্রার চেষ্টা বলে পাল্টা অভিযোগ শাসকদলের।

Updated By: Jul 7, 2017, 08:27 PM IST
'প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতেই বসিরহাট যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা!'

ওয়েব ডেস্ক : পুলিসের বাধায় ভেস্তে গেল বিরোধীদের বসিরহাট যাওয়ার পরিকল্পনা। বসিরহাট থেকে বহু দূরে, কংগ্রেস-বিজেপি-বামেদের আটকে দিল পুলিস। বিরোধীদের দাবি, শান্তির লক্ষ্যেই তাঁরা হিংসা কবলিত এলাকায় যেতে চান। গা-জোয়ারি করে পুলিস তাঁদের আটকে দেয়। গোলমাল পাকাতেই বসিরহাট যাত্রার চেষ্টা বলে পাল্টা অভিযোগ শাসকদলের।

বাম-কংগ্রেস-বিজেপি। শুক্রবার, তিন পক্ষই বসিরহাট যেতে মরিয়া ছিল। কিন্তু পুলিসি বাধায় ত্রিসীমানার মধ্যে পৌছতে পারলেন না তাঁরা। এদিন সকালে বসিরহাটের পথে অশোকনগরে বামেদের আটকে দেয় পুলিস। চাঁপাডালি মোড়ে আটকে দেওয়া হয় অধীর চৌধুরীদের। BJP বাধা পায় মধ্যমগ্রামের কাছে। পরে, শাসনের পথে বামেদের বসিরহাট যাওয়ার পরিকল্পনাও পুলিসের বাধায় ব্যর্থ হয়।  

বৃহস্পতিবার, মুখ্যমন্ত্রী সব দলের কাছে বসিরহাট না যাওয়ার আবেদন জানান। বলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শান্তির স্বার্থে সেখানে যাবেন না। যাবে না তৃণমূলও। যদিও, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ অগ্রাহ্য করেই বিরোধীদের দাবি, প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ায় শান্তি ফেরাতে তাঁরা বসিরহাট যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।

আরও পড়ুন- অশান্তি সৃষ্টি করতেই বসিরহাট যাচ্ছে বিরোধীরা, অভিযোগ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের

মধ্যমগ্রামের গ্রিন পার্কের কাছে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি প্রতিনিধি দলকে। পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান দলের নেতানেত্রীরা। জয়প্রকাশ মজুমদার, রূপা গাঙ্গুলি, লকেট চ্যাটার্জিদের গ্রেফতার করে পুলিস। বিজেপি নেতানেত্রীদের এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে যায় পুলিস। দুপুরের দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বসিরহাটের উদ্দেশে রওনা হন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা। রুট পরিবর্তন করে অশোকনগর দিয়ে বসিরহাট যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিস তাঁদের আটকে দেয়। পরে, শাসন হয়ে ঢোকার চেষ্টাও পুলিসের বাধায় ব্যর্থ হয়। ফিরে এসে চাঁপাডালি মোড়ে পথসভা করেন বাম নেতারা।

অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১৫ জনের কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে বারাসত রবীন্দ্র ভবনের কাছে আটকে দেওয়া হয়। বাধা পেয়ে চাঁপাডালি মোড়ে অধীরও পথসভা করেন। বিরোধীদের অভিযোগ, বসিরহাটের কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা থাকলেও তাদের বসিরহাট মহকুমার অনেক বাইরে আটকে দেওয়া হয়। যেখানে ১৪৪ ধারা ছিল না। গায়ের জোরে প্রশাসন তাদের আটকেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আর শাসকদলের পাল্টা অভিযোগ, বিরোধীরা গোলমাল পাকাতেই বসিরহাট যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেজন্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিস। রাজনীতির এই চাপান-উতোর নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বসিরহাটের মানুষ অবশ্য এখন শুধুই শান্তির খোঁজে।

.