North Bengal University: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র
এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে এখন সিবিআই হেফাজতে সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর বদলে আপাতত ৩ মাসের জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের চেয়ারে বসলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ব্যবধান সপ্তাহ খানেকের। সুবীরেশ ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। আপাতত ৩ মাস দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। রাজ্যের সুপারিশ মেনে নিয়োগে অনুমতি দিলেন আচার্য।
এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে এখন জেল হেফাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অগস্টে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্য়াম্পাসের যান সিবিআই আধিকারিকরা। কেন? উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সরকারি আবাসনে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, সেদিন দক্ষিণ কলকাতায় সুবীরেশের ফ্ল্যাটে পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের টিম। বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্য়াটটি অবশ্য তখন তালাবন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত ফ্ল্যাটটি সিল করে দেওয়া হয়।
এদিকে শিলিগুড়িতে যেদিন সরকারি বাসভবনে তল্লাশি হয়, তার পরের দিন শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় আসেন সস্ত্রীক সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর উপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। একসময়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সিবিআই সূত্রে খবর, এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তাঁর নামে ওঠে আসে। এমনকী, নিয়োগ দুর্নীতির জড়িত থাকারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির দায় যখন কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তখন সিবিআইয়ের জেরায় বিস্ফোরক দাবি করেছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, 'নিয়োগের নির্দেশ আসত উপরমহল থেকে। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি যাবতীয় বার্তা বা নির্দেশ দিতেন মন্ত্রীর হয়ে'।
পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
কীভাবে নিয়োগ করা হত? এদিন হাইকোর্টে তথ্যপ্রমাণ-সহ রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। রিপোর্টে উল্লেখ, অকৃতকার্য চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর বদলে যেত এসএসসির সার্ভার রুমেই! তালিকায় কতজন? গ্রুপ সি-তে ৩,৪৮১ জন, গ্রুপ ডি-তে ২,৮২৩। তাঁদের কারও প্রাপ্ত নম্বর ১ তো, কেউ হয়তো পেয়েছিলেন শূন্য! এমনকী, ফাঁকা ওএমআর শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে! এই রিপোর্ট দেখার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমি শকড!' সঙ্গে হুঁশিয়ারি, বেআইনিভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা যদি নিজেরাই পদত্য়াগ করেন, তাহলে ভালো। না হলে ভবিষ্যতে তাঁরা যেন আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষার বসতে না পারেন, আমি সেই নির্দেশ দেব'। নির্দেশ দেন, 'যারা যারা শুন্য পেয়েছে, অথচ সার্ভারে পাস করেছে, তাদের নাম জানতে হবে সিবিআইকে।'