ফুঁসছে অধিকাংশ নদী; টানা বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা বাঁকুড়ার, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত ২
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। যথেষ্ট ত্রাণ মজুত রাখার পাশাপাশি তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল সকাল আটটা থেকে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১০৬ মিলিমিটার। বৃষ্টির জলে ফুঁসছে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, শিলাবতী, আমোদরের মতো নদী। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ইন্দাস ব্লকের একাংশ। বহু জায়গায় রাস্তা ও সেতু জলের তলায় চলে যাওয়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা। প্রবল বৃষ্টিতে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
আরও পড়ুন-ফোনে শাসাচ্ছেন'! Saumitra-র বিরুদ্ধে Dilip-র কাছে নালিশ যুবমোর্চা কর্মীদের
নিম্নচাপের জেরে গত মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বাঁকুড়া জেলা। গতকাল থেকে ঝোড়ো হাওয়া ও তার সাথে পাল্লা দিয়ে ভারী বৃষ্টির জেরে কার্যত দুর্যোগ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে জেলায়। দ্বারকেশ্বর নদের জলস্ফীতির কারনে ভাদুল ও মীনাপুর সেতু জলের তলায় চলে গিয়েছে। গন্ধেশ্বরী নদীর উপর থাকা শুশুনিয়া ও মানকানালি সেতু জলে ডুবে যাওয়ায় ওই দুই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ।
সিমলাপালের কাছে শিলাবতী নদীর সেতু জলে ডুবে যাওয়ায় জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যান চলাচল বন্ধ বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে। কোতুলপুরের মিল মোড়ের কাছে রাস্তার উপর জল উঠে আসায় বিষ্ণুপুর-কোতুলপুর রাস্তায় যান চলাচল বিপর্যস্ত। জয়রামবাটির কাছে আমোদর নদের জল সেতুর উপর উঠে আসায় কোতুলপুর জয়রামবাটি রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন-'গ্রিনসিটি, খেলসিটি তৈরি করবে HIDCO', চেয়ারম্যান পদে বসে ঘোষণা Firhad-র
ইন্দাস ব্লকে জলের তলায় ডুবে রয়েছে প্রায় ১ হাজার হেক্টরের বেশি কৃষিজমি। টানা বৃষ্টিতে সিমলাপাল ব্লকের পাথরডোবা গ্রামে বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হল আবদুল ওয়াহিদ খান নামের এক ব্যাক্তির। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়রা ও পরে সিমলাপাল থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। অন্যদিকে, বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল সোনামুখী থানার সিদ্ধান্তডাঙার এক বৃদ্ধের। আজ সকালে তিন বন্ধুর সঙ্গে বাড়িতে বসে গল্প করছিলেন লখিন্দর সোরেন নামে ওই ব্যক্তি। সেই সময় দেওয়াল চাপা পড়ে যান তিনজন। গুরুতর আহত অবসথায় তাদের ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় লখিন্দর সোরেনের।
এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। যথেষ্ট ত্রাণ মজুত রাখার পাশাপাশি তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রতিটি থানা ও ব্লক প্রশাসনকে।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)