বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ, রহস্য
রায়গঞ্জ থানার বামনগাঁ গ্রামের বাসিন্দা গীতা বর্মনের সঙ্গে প্রেম ছিল করনদিঘির রসাখোয়া এলাকার খোন্তা গ্রামের বাসিন্দা বাবলু বর্মনের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের পনেরো দিনের মাথায় নববধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে শ্বশুরবাড়ির এক সদস্যকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ মৃতার পরিবারের। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি এলাকায়। মৃতার নাম গীতা বর্মন (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার বামনগাঁ গ্রামের বাসিন্দা গীতা বর্মনের সঙ্গে প্রেম ছিল করনদিঘির রসাখোয়া এলাকার খোন্তা গ্রামের বাসিন্দা বাবলু বর্মনের। দিন পনেরো আগে গীতার মাসীর বাড়ি বাগডোগরা থেকে বাবলুর সঙ্গে বিয়ে হয়। সোমবার রাতে বাগডোগরায় গীতার মাসির বাড়িতে খবর দেওয়া হয় গীতা আগুনে পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে রায়গঞ্জ রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই গীতার বাপের বাড়ির লোকজন ছুটে যান রায়গঞ্জে। তারা গিয়ে দেখেন হাসপাতালেগীতার মৃত্যু হয়েছে।
‘দেখ কেমন লাগে!’ সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন সাংসদ মনোজ চক্রবর্তী
শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউই সেখানে ছিল না বলে অভিযোগ মৃতার বাপেরবাড়ির । তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এক আত্মীয় গিয়ে গীতাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যান। অভিযোগ, গীতা ও বাবলুর প্রেম কোনওদিনই মেনে নিতে পারেননি শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ। তারাই আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ। থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের তরফে দাবি করা হচ্ছে, গীতা আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক গীতার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।