Malda: 'মাদক খাইয়ে অন্তর্বাস দিয়ে আমার মুখ বাঁধে, হাত-পাও!' স্বামীকে খুনের চেষ্টা নববধূর
"এক সপ্তাহ হল আমি ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছি। সব সময় আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হত। খাবারের সঙ্গে মাদকজাতীয় কিছু খাইয়ে দেওয়া হত। সবসময় বাড়িতেই ঝিম মেরে বসে থাকতাম।"
রণজয় সিংহ : স্বামীকে মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে হাত - পা, মুখ বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের চেষ্টার (Attempt To Murder) অভিযোগ উঠল এক নববধূর বিরুদ্ধে । শুধু তাই নয় সেই দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করে নিজের মাকে লাইভ ভিডিও দেখানোরও অভিযোগ নববধূর বিরুদ্ধে। যুবকের গোঙানির শব্দ শুনে বাড়ির লোকেরা দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন। প্রাণে বাঁচেন যুবক। এরপরই হইচই পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। খবর দেওয়া পুলিসকে। অভিযুক্ত নবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে পুরাতন মালদা (Malda) থানার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাহুত গ্রামে।
রাহুত গ্রামের বাসিন্দা আয়াতুল শেখের সঙ্গে দু'মাস আগে বিয়ে হয় ইংরেজবাজারের নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আসমিরা খাতুনের। কিছুদিন আগে ভিন রাজ্য থেকে কাজ করে পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাহুত গ্রামের নিজের বাড়িতে ফেরেন আয়াতুল শেখ। আর তারপরই সোমবার রাতে আচমকা স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ। নির্যাতিত যুবক আয়াতুল শেখ অভিযোগ করেছেন, "এক সপ্তাহ হল আমি ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছি । সব সময় আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হত। খাবারের সঙ্গে মাদকজাতীয় কিছু খাইয়ে দেওয়া হত। সবসময় বাড়িতেই ঝিম মেরে বসে থাকতাম । সদ্য বিবাহিত স্ত্রী আজমিরা খাতুনকে আমি এব্যাপারে অনেক জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু কিছু উত্তর দেয়নি সে। সোমবার রাতে হঠাৎ করে ওর অন্তর্বাস দিয়ে আমাকে মুখ বাধে। তারপর হাত, পা বেঁধে ওর মোবাইল থেকে ফোন করে আমাকে খুন করার কথা বলতে থাকে। সমস্ত ভিডিওটা আমার মোবাইল থেকে করা হয়। আমার গোঙানির শব্দ শুনে পাশের ঘর থেকে বৃদ্ধ বাবা-মা ছুটে আসেন। তারপর চিৎকার-চেঁচামেচিতে পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।"
এপ্রসঙ্গে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান গুমানি শেখ জানিয়েছেন, "ঘটনাটি শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি। স্বামী তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন।" পুরাতন মালদা থানার এক তদন্তকারী পুলিসকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে ওই মহিলাটি মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। নয়তো তাঁর কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকতে পারে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।