Kaliagunj, NCPCR: 'যৌন নির্যাতন হয়েছে নাবালিকার,' কালিয়াগঞ্জে কিশোরী মৃত্যুতে বিষক্রিয়ার তত্ত্ব খারিজ কেন্দ্রীয় সংস্থার
NCPCR চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর সাফ কথা, মন্ত্রীর দাবি মিথ্যে। ময়নাতদন্তও নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসন সহযোগিতা করেনি। তদন্তকারী অফিসাররা কেউ তাঁর ফোন ধরেননি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কালিয়াগঞ্জে কিশোরীর বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কথা খারিজ করে দিলেন NCPCR চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। বরং তিনি দাবি করলেন, ওই নাবালিকাকে নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁকে শোষণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেই তিনি এব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। কানুনগো বলেন,'৩ জন চিকিৎসকের সঙ্গেই কথা বলতে চেয়েছিলাম। ১ জন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করা হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি। কিশোরীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে দিল্লিতে গিয়ে রিপোর্ট দেব।'
প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ছাত্রীর। কিন্তু সেই বিষক্রিয়ায় মৃত্য়ুর তত্ত্ব মানতে নারাজ কানুনগো। বরং ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন NCPCR চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। বিষক্রিয়ায় ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও। NCPCR চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর সাফ কথা, মন্ত্রীর এই দাবি মিথ্যে। কারণ তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মন্ত্রী শশী পাঁজা মন্তব্য করেছেন যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ছাত্রীর। পাশাপাশি, তাঁর অভিযোগ, প্রশাসন সহযোগিতা করেনি। প্রশাসন সহযোগিতা করলে ২৪ ঘণ্টা থাকতে হত না। তদন্তকারী অফিসাররা কেউ তাঁর ফোন ধরেননি।
কালিয়াগঞ্জে কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় গণধর্ষণের অভিযোগ করেছে পরিবার। যে ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলেছে তারা। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে RAF নামায় পুলিস। ঘটনাস্থলে আসে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। পাশাপাশি আসে কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। একইসঙ্গে চলে আসেন খোদ NCPCR চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্কা কানুনগোও। রবিবার সকালে কালিয়াগঞ্জে পৌঁছে যান জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। মৃত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর এদিন সকালে সার্কিট হাউজে গিয়ে NCPCR চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উত্তর দিনাপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহাকুমাশাসক, SDPO ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
কীভাবে ছাত্রীর মৃত্যু কালিয়াগঞ্জে? ধর্ষণ করে খুন? 'ময়নাতদন্তে রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর যে কারণ আছে, তা হল বিষক্রিয়া। দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি', সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপার মহম্মদ সানা আখতার। কিন্তু তা মানতে নারাজ মৃত কিশোরীর পরিবার। প্রিয়াঙ্ক কানুনগোও কিশোরী মৃত্যুর ঘটনায় বিষক্রিয়ার তত্ত্ব খারিজ করে যৌন নির্যাতন তত্ত্বেই এদিন শিলমোহর দেন। উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জে ছাত্রী মৃত্যুর পর একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, দেহটি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস!
যে প্রসঙ্গে পুলিস সুপারের দাবি, 'সেই মুহূর্তের পরিস্থিতি অনুয়ায়ী পুলিস কাজ করেছে।' পাশাপাশি, পুলিস সুপার আরও বলেন, 'আমরা সমস্তরকমভাবে তদন্ত করছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ কড়া পদক্ষেপ করা হবে।' প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই ঘটনায় ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতে রয়েছে ২ অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন, Recruitment Scam: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নয়া মোড়, বড় পদক্ষেপ করল সিবিআই!