Ram Mandir | Ayodhya: লুকসান থেকে অযোধ্যা, সাইকেল চালিয়েই রামমন্দির দর্শন নাগরাকাটার যুবকের!
৯ দিনের যাত্রা। সাইকেলে চড়ে রামমন্দির দর্শন করে এসে ভীষণ খুশি নাগরাকাটার লুকসান গ্রামের মানব বিশ্বাস।
অরূপ বসাক: রামমন্দির দর্শন করতে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটার লুকসান গ্রাম থেকে অযোধ্যায় সাইকেলে করে গিয়েছিল ১৭ বছরের যুবক মানব বিশ্বাস। ৯ দিন যাত্রা শেষ করে সোমবার দুপুরে তিনি নাগরাকাটার নিজের বাড়িতে পৌঁছান। তিনি ৯ দিনে সাইকেলে লুকসান থেকে অযোধ্যা যাত্রা শেষ করেন। এরপর রামলালার দর্শন করে সোমবার ফিরে আসেন।
সোমবার লুকসানে পৌঁছানোর সাথে সাথেই লোকেরা তাকে মালা দিয়ে এবং জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানায়। স্থানীয়রা মানব বিশ্বাসকে নিয়ে মিছিলও করে। নাগরাকাটা থেকে মিছিল বের হওয়ার পর প্রথমে লুকসান হাই রোডে স্থানীয় জনগণ তাকে স্বাগত জানায়। তারপর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে লুকসান মোড়, স্টেশন, বস্তি বাজার হয়ে শেষ হয়। মানবকে স্থানীয় লোকজন মিষ্টি খাইয়ে স্বাগত জানায়। সবুজ সাথীর সাইকেলে চড়েই এই যাত্রা করেন মানব। সাইকেল যাত্রার সময় বাগডোগরা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর সমর্থক তাঁকে সংবর্ধনা দেয়। সাইকেলে চড়ে রামমন্দির দর্শন করে এসে ভীষণ খুশি মানব বিশ্বাস।
অযোধ্যার রামলালার মন্দির উদ্বোধন ঘিরে উত্তেজনা গোটা দেশজুড়ে। মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে পায়ে হেঁটেও রওনা দিয়েছেন অনেকে। অসম থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন সত্তরোর্ধ্ব ভবানী প্রসাদ রিমাল। ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানে সাক্ষী থাকতে ডিব্রুগর থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যায়! এই প্রসঙ্গে ভবানী প্রসাদের যুক্তি, রামলালা মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়েছি। ঐতিহাসিক মুহূর্ত নিজের চোখে দেখতে পাওয়াটা ভাগ্যের। ২১ তারিখেই অযোধ্যা পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
প্রায় ১০ দিন ধরে রোজ সারাদিন এবং সন্ধ্যায় কিছু সময় তিনি হেঁটে চলেছেন জাতীয় সড়ক ধরে। আর রাত কাটাচ্ছে পথের ধারে কোনও মন্দির বা পেট্রোল পাম্পে। ভোরের আলো ফুটতেই আবার যাত্রা শুরু। দীর্ঘ প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে অযোধ্যায়! অসম থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন দুই বন্ধুও। অসমের বরপেটা এলাকার বাসিন্দা ডিম্পল ডেকা ও তেজপুর জেলার বাসিন্দা দেরহাসার মুসাহারি। গত ১২ দিন ধরে হেঁটে চলেছেন তারা। তাঁরা জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ কিলোমিটার হাঁটছেন তাঁরা। পুলিস স্টেশন ও পেট্রোল পাম্প সহ বিভিন্ন জায়গায় রাতে আশ্রয় নিচ্ছেন। দুজনেই রাস্তায় নিরামিষ খাবার খাচ্ছেন। চলতি মাসেই তাদের রামমন্দিরে পৌঁছানোর লক্ষ্য।
আরও পড়ুন, Ram Mandir: মেদিনীপুরে রামমন্দিরের উদ্বোধন, 'রাম কি শুধু একা দিলীপদার?' কটাক্ষ জুন মালিয়ার!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)