Credit Card Fraud: ডেবিটের বদলে ক্রেডিট কার্ড ধরায় ব্যাংক! অ্যাকাউন্ট থেকে কাটছে টাকা, বিস্ফোরক কাউন্সিলর
কাউন্সিলরের আরও দাবি, যে ক্রেডিট কার্ড তাঁদের দেওয়া হয়, এখনও পর্যন্ত ওই কার্ডের চার সংখ্যার পিন নাম্বারও তিনি নিজে অ্যাক্টিভেট করেননি! ব্যাংকে অভিযোগ জানানোর পর থেকেই টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে!
বিশ্বজিত্ মিত্র: ডেবিট কার্ডের নামে ক্রেডিট কার্ড! ডেবিট কার্ড দেওয়ার নাম করে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল খোদ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় বীরনগরের ইউকো ব্যাংকের শাখা। প্রতারণার শিকার হয়েছে বীরনগর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামলী বিশ্বাস।
বীরনগর ইউকো ব্যাংকের গ্রাহক কাউন্সিলর শ্যামলী বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে সুব্রত বিশ্বাস। তাঁদের দাবি, ২০২০ সালে তিনি একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট করেছিলেন। তারপর ব্যাংক থেকে ফোন আসে যে তাঁদেরকে ডেবিট কার্ড দেওয়া হবে। এরপর ব্যাংক থেকেই তাঁদেরকে ডেবিট কার্ডের বদলে ক্রেডিট কার্ড ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর অজান্তে সেই কার্ড বাড়ি নিয়ে আসার পরই বিপত্তি! তারপর তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় বেশ কয়েক হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়।
তাঁদের আরও দাবি, যে ক্রেডিট কার্ড তাঁদের দেওয়া হয়, এখনও পর্যন্ত ওই কার্ডের চার সংখ্যার পিন নাম্বারও তিনি নিজে অ্যাক্টিভেট করেননি! এদিকে তা সত্ত্বেও প্রথমে ২০২১ সালে ৩০০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। টাকা কাটা মাত্রই ব্যাংকে গিয়ে তিনি অভিযোগ জানান, ওই ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ব্যাংক ওই ক্রেডিট কার্ড বন্ধ না করে চালু রেখে দেয় বলে অভিযোগ শ্যামলী বিশ্বাসের। উপরন্তু তাঁর আরও অভিযোগ, ২০২২ সালে পুনরায় প্রথমে ৩০০০ এবং পরে আরও ৩০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়।
যারপর ব্যাংকে পুনরায় অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু তারপর থেকেই ক্রমাগত টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে! বাধ্য হয়ে এই ঘটনায় তাহেরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউন্সিলর। যদিও ইউকো ব্যাংকের বীরনগর শাখার ব্যাংক ম্যানেজার লোপা রায় বসু দাবি করেছেন, 'আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। ওনার একটি মেইল আমরা পেয়েছি। আমি হেড অফিসের সঙ্গে কথা বলেছি। ওনাদের মেইলে জানিয়ে দেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন, পুলিসের উর্দি পরেই তৃণমূলের মঞ্চে, অন-ডিউটি সংবর্ধনা! তুঙ্গে বিতর্ক
সাদা ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! দ্বিতীয় ভুয়োর তালিকা প্রকাশ হতেই বেপাত্তা শিক্ষিকা