পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির চক্র চলছে কোচবিহার ডাকঘরে

পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে হতদরিদ্র গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। পরে সেই টাকা বুঝিয়ে সুঝিয়ে হাতিয়ে ফুলেফেঁপে উঠছেন ডাক বিভাগের একশ্রেণির কর্মচারী। এমনই বড়সড় দুর্নীতির হদিস মিলল কোচবিহার ডাকঘরে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার এক সাব পোস্ট মাস্টার।

Updated By: Apr 6, 2017, 09:43 AM IST
পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির চক্র চলছে কোচবিহার ডাকঘরে

ওয়েব ডেস্ক : পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে হতদরিদ্র গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। পরে সেই টাকা বুঝিয়ে সুঝিয়ে হাতিয়ে ফুলেফেঁপে উঠছেন ডাক বিভাগের একশ্রেণির কর্মচারী। এমনই বড়সড় দুর্নীতির হদিস মিলল কোচবিহার ডাকঘরে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার এক সাব পোস্ট মাস্টার।

কীভাবে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে টাকা?
ডাক বিভাগের নিজস্ব টাকা যে অ্যাকাউন্টে থাকে, তার পাসওয়ার্ড জানেন কোনও আধিকারিক। প্রয়োজন অনুযায়ী সেই টাকা বিভিন্ন ব্রাঞ্চে পাঠানো হয়। সেই টাকা ব্রাঞ্চে না পাঠিয়ে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে তা গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতেন পোস্ট অফিসের কর্মী সুজিত রায়। আরও একজনের নামেও উঠছে অভিযোগ। তিনি হাড়িভাঙা পোস্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা রাহিমূল খন্দকার।

উচ্চমাধ্যমিক পাস রাহিমুল ডাকঘর কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত। বছর চারেক আগে হাড়িভাঙা ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসে যোগ দেন। মাসে ১০-১১ হাজার টাকা বেতন রাহিমুলের। কিন্তু তাঁর বিলাসবহুল জীবন তাক লাগিয়ে দিয়েছে অনেককেই। দিনহাটা রাজ্য সড়কের ওপরে তিনতলা বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। গোটা বাড়িতে রয়েছে CCTV নজরদারি। বেশ কয়েকটি এসি ছাড়াও রয়েছে জেনারেটর। রাহিমুল যে গাড়িটি চড়েন তার আনুমানিক দাম প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। এছাড়াও রয়েছে মোটরবাইক। যার দাম ৭ লক্ষ টাকারও বেশি। বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। দামি আসবাবে ঠাসা ঘরে রয়েছে একাধিক মূল্যবান জিনিসপত্র।

ঘটনা সামনে আসতেই বেপাত্তা রাহিমুল। এই সামান্য চাকুরে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তার  কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁর বাবাও। মুখ্য পোস্ট মাস্টার জেনারেল অরুন্ধতী সাহা জানিয়েছেন, একটা সূত্র মারফত্ তাঁর কাছে বেনিয়মের অভিযোগটা প্রথম আসে। গোপন তদন্ত শুরু হয়। তারপরেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরয়। তদন্তে ১৪ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়েছিল। পরবর্তীতে টাকার অঙ্ক আরও বেড়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর জেলার পুলিশ সুপারকে বিষয়টা জানানো হয়। ডাক বিভাগের তরফে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে FIR করা হয়।

আরও পড়ুন, কেন্দ্রের ডাকে সাড়া; ৭ এপ্রিল দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

.