Kakdwip| Fisherman Death: সংসারে হাসি ফোটাতে বুড়ো বয়সেও নিয়েছিলেন ঝুঁকি, জম্বুদ্বীপে উদ্ধার নিখোঁজ মত্সজীবীর দেহ

Kakdwip| Fisherman Death: ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃত মৎস্যজীবী পরিবারদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয় মৎস্যজীবী পরিবারদের

Updated By: Sep 26, 2024, 01:58 PM IST
Kakdwip| Fisherman Death: সংসারে হাসি ফোটাতে বুড়ো বয়সেও নিয়েছিলেন ঝুঁকি, জম্বুদ্বীপে উদ্ধার নিখোঁজ মত্সজীবীর দেহ

নকীব উদ্দিন গাজী: অবশেষে জম্বুদ্বীপের কাজ থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ মৎস্যজীবী পাতুরি দাসের(৬৬) দেহ। গত রবিবার এফবি বাবা গোবিন্দ নামক ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৯ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে আটজনের দেহ উদ্ধার হয়। তবে নিখোঁজ ছিলেন বছর ৬৬-র পাতুড়ি দাস। এরপর থেকেই প্রশাসন ওই নিখোঁজ মৎস্যজীবীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। বৃদ্ধ বাবার অপেক্ষায় কাকদ্বীপ পুলিস মর্গের সামনে অপেক্ষায় বসেছিলেন পাতুড়ি দাসের ছেলেমেয়ে।

আরও পড়ুন-সংসারে হাসি ফোটাতে সমুদ্রে পাড়ি জমিয়েছিল ৬৬ বছরের বৃদ্ধ, পুলিস মর্গের সামনে অপেক্ষায় ছেলেমেয়েরা

গতকাল স্থানীয় মৎস্যজীবীরা দেখতে পান জম্বু দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় এক মৎস্যজীবীর দেহ ভাসছে। এর পর তারা প্রশাসনকে খবর দিলে প্রশাসন গিয়ে ওই দেহ উদ্ধার করে প্রথমে দারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মৃতদেহ কাকদ্বীপ পুলিস মর্গে নিয়ে আসা হয়। আজ সকালে তার দেহ দেখার পরেই তার পরিবারের লোকজনকে ডাকা হলে পরিবারের লোকজন দেহ সনাক্ত করে। মৃত মৎস্যজীবীর ছেলে দেহ সনাক্ত করে । ময়নাতদন্ত করার পর পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেয়া হবে বলে জানা যায়।

ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃত মৎস্যজীবী পরিবারদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয় মৎস্যজীবী পরিবারদের। বুধবার রাতে রাজ্যের প্রতিবন্ধী সংগঠনের পক্ষ থেকে কান্তি গাঙ্গুলী নিজে ওই মৎস্যজীবী পরিবারদের হাতে প্রতিবন্ধী সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা ও এক মাসের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।

সামুদ্রিক ঝড়ের মুখে পড়ে পাতুরিদের ট্রলার। মোট ১৭ জন মত্সজীবী ছিলেন ওই ট্রলারে। এদের মধ্যে ৮ জনকে জীবিত ও ৮ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রশাসন। পরিবারের আশা ছিল মৃত ৮ জনের মধ্যে হয়তো পাওয়া যাবে বৃদ্ধ পাতুড়িকে। গত রবিবার থেকে কাকদ্বীপ পুলিস মর্গের সামনে বসেছিলেন পাতুড়ির ছেলেমেয়েরা।

সংসারে ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফোটাতে ৬৬ বছর বয়সেও গভীর সমুদ্রে গিয়েছিল মাছ ধরতে গিয়েছিলেন পাদুরি। বহুদিন ধরেই ওই কাজ করে আসছেন। কিন্তু এমন ভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হবে এ কথা কোনদিনই ভাবতে পারেনি পরিবার। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার পাদুরির।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.