Arms Recovered: পুলিসের জালে শোলে পাসোয়ান, দেশি কার্বাইন-একে ৪৭ রাইফেল-সহ পাণ্ডবেশ্বরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী
২০০২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পান্ডবেশ্বর এলাকায় রাজত্ব করার ২০১৯ সালে মারা যায় নুর। তার পর থেকে পলাতকই ছিল সুনীল। সম্প্রতি এলাকায় ঢুকেছিল সে। তারপর ফের পাচার চক্রে যোগ দেয়
চিত্তরঞ্জন দাস: পান্ডবেশ্বের কয়লা, বালি পাচারের বড় মাথা হিসেবে একডাকে সবাই চেনে শোলে পাসোয়ানকে। জাল পেতে তাকেই ধরে ফেলল পুলিস। শুক্রবার রাতে অস্ত্র কিনতে সে এসেছিল পান্ডবেশ্বর থানার ৩ নম্বর কোলিয়ারি এলাকায়। পুলিসের কাছে খবর ছিল কোনও এক দুষ্কৃতী অস্ত্র কিনতে এসেছে। কিন্তু তা যে শোলে পাসোয়ান তা পুলিসের কাছে খবর ছিল না। কিন্তু পাকড়াও করতেই দেখা যায় ধৃত দুষ্কৃতী আসলে শোলে পাসোনায় ওরফে সুনীল পাসোয়ান। তার সঙ্গে ছিল ম়্জিত রাম নামে আরও এক দুষ্কৃতী। পুলিসের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। পান্ডবেশ্বর এলাকায় কয়লা পাচার, বালি পাচার গ্রুপের বেতাজ বাদশা ছিল নুর আলম। সেই নুর আসমের দেহরক্ষী ছিল এউ সুনীল পাসোয়ান।
আরও পড়ুন-মায়ের গণধর্ষণের প্রধান সাক্ষী সে-ই, ট্রমা কাটছে না ৫ বছরের মেয়ের!
২০০২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পান্ডবেশ্বর এলাকায় রাজত্ব করার ২০১৯ সালে মারা যায় নুর। তার পর থেকে পলাতকই ছিল সুনীল। সম্প্রতি এলাকায় ঢুকেছিল সে। তারপর ফের পাচার চক্রে যোগ দেয়। সাম্রাজ্য চালানোর জন্য ওইসব অস্ত্রগুলো কিনতে এসেছিল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি দেশি কার্বাইন, ১টি দেশি পাইপগান, ১টি দেশি একে ৪৭ রাইফেল, ১টি সিহ্গল ব্যারেল পাইপগান, ৮ রাউন্ড ৭.৬২ এমএম কার্তুজ।
গত বছর একবার অস্ত্রপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুনীল পাসোয়ানকে। শনিবার ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে অস্ত্র আইনে তোলা হলে আদালত ধৃতের ৭ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান, পাণ্ডবেশ্বর থানার বিশেষ পুলিসের দল, গোয়েন্দা পুলিস ধৃতকে জেরা করে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কোথা থেকে এসেছিল, কোথায় তৈরি হত তা জানার চেষ্টা করবে।