‘রাজ্যকে না জানিয়েই পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন পাঠাচ্ছে রেল, সংক্রমণ হলে দায় কে নেবে!’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমারা যে প্ল্যান করেছিলাম তাতে ১৫ দিনের মধ্যে সবাই চলে আসতো। কিন্তু এতো লোক একসঙ্গে আসছে। এদের হেলথ স্ক্রিনিং কীভাবে করব!
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য জানেই না। পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন রাজ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে রেল। সংক্রমণ ছড়ালে দায় কেন নেবে? প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি তুললেন তিনি।
আরও পড়ুন-সর্বকালীন রেকর্ড! লাফিয়ে লাফিয়ে চড়ছে দাম, লকডাউনে মুরগির মাংসে কালোবাজারি?
বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একদিকে করোনা সংক্রমণ। আর অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরছেন-হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ। যাঁরা আসছেন তাদের অনেকেই হটস্পট এলাকা থেকে আসছেন। বিশেষকরে মহারাষ্ট্র, চেন্নাই, দিল্লি, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের মতো জায়গা থেকে। অনেকেই শরীর খারাপ নিয়ে আসছেন।
রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা একটি প্ল্যান করে রেলের হাতে দিয়েছিলাম। ২৩৫টি ট্রেনের একটি তালিকা তৈরি করে দিয়েছিলাম কোন ট্রেন কখন আসবে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে হঠাত্ খবর পেলাম, মুম্বই থেকেই ৩৬টি ট্রেন চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের না জিজ্ঞাসা করে। মহারাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বললাম। তারাও ট্রেন আসার ব্যাপারে কিছু জানতো না। রাত দুটোর সময় জানিয়েছে।
মমতার অভিযোগ, রেল ইচ্ছে মতো ট্রেন পাঠিয়ে দিচ্ছে। যারা আসছেন তারা অনেকেই পজিটিভ হয়ে গিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছিলাম কন্ট্রোল করার। কিন্তু একসঙ্গে লাখ লাখ লোক এসে গেলে আমাদের হাতের বাইরে চলে যায়। এরা রাজ্যেরই মানুষ। আমাদের কথা শুনে যদি একটু হেল্প করতো রেল তাহলে এই সমস্যাট হতো না।
আরও পড়ুন-'লকডাউন মানব না, দেখি কে কী করে...' মমতাকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমারা যে প্ল্যান করেছিলাম তাতে ১৫ দিনের মধ্যে সবাই চলে আসতো। কিন্তু এতো লোক একসঙ্গে আসছে। এদের হেলথ স্ক্রিনিং কীভাবে করব! এরপর যদি বাংলায় শয়ে শয়ে হাজার হাজার লোকের করোনা হয় তার দায় কে নেবে! আপানারা চান বাংলাটা দিল্লি, মহারাষ্ট্র হয়ে যাক! আমারা ভাড়ার টাকা দিয়েছি। তারপরেও একটা সিটে তিন জনকে আনা হচ্ছে। রেল মন্ত্রক বলেছিল আমাদের কনসাল্ট করে করা হবে। কিন্তু তার পরেও চক্রান্ত করে এসব করা হচ্ছে।
মমতার দাবি, আমি নিজে অমিত শাহকে বলেছিলাম যদি আপনাদের মনে হয় আমরা সামলাতে পারছি না, তাহলে আপনারা দ্বায়িত্ব নিন না! কিন্তু থ্যাঙ্কস তাঁকে, তিনি তখন আমায় বলেছিলেন আপনাদের তো নির্বাচিত সরকার। আমরা নিয়ম ভেঙে দিতে পারি না।