বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও না, ওটা আসলে বেটি তাড়াও প্রকল্প : মমতা

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘কেউ কেউ বলছেন ওটা বেটি বাঁচাও, বেটি পঢ়াও প্রকল্প, কিন্তু আমি বলছি আপনাদের ওটা আসলে বেটি বাঁচাও, বেটি তাড়াও প্রকল্প।  তা না হলে গোটা দেশের জন্য এত কম বরাদ্দ কেন?‘ 

Updated By: Feb 19, 2018, 05:57 PM IST
বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও না, ওটা আসলে বেটি তাড়াও প্রকল্প : মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন:  বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্প নিয়ে ফের কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। এই প্রকল্পে সমগ্র দেশের জন্য মাত্র একশো কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কেন্দ্র যে আসলে কাজই করতে জানে না তা স্পষ্ট।  মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘কেউ কেউ বলছেন ওটা বেটি বাঁচাও, বেটি পঢ়াও প্রকল্প, কিন্তু আমি বলছি আপনাদের ওটা আসলে বেটি বাঁচাও, বেটি তাড়াও প্রকল্প।  তা না হলে গোটা দেশের জন্য এত কম বরাদ্দ কেন?‘ সোমবার মুর্শিদাবাদের সভা থেকেই নাম না করে রাজ্যপালকেও খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: জলভর্তি বালতিতে ডুবে মৃত্যু মেটিয়াবুরুজের দেড় বছরের শিশুর

প্রসঙ্গত,  গত শুক্রবার রাজ্যের 'কন্যাশ্রী‍' প্রকল্পের থেকে কেন্দ্রের 'বেটি বাঁচাও, বেটি পঢ়াও‍' প্রকল্প এগিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। আর তাতেই রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের আগুনে নতুন করে ঘি পড়ে।

একদা কংগ্রেসের অধীর গড়ে দাঁড়িয়ে সোমবার বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  মুখ্যত, পিএনবি জালিয়াতি ইস্যুতেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় একযোগে দুই মোদীকে আক্রমণ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘নোটবন্দির এক বছর আগে থেকেই আমজনতার টাকা মারার চক্রান্ত  হয়েছে।  মানুষের টাকায় ফূর্তি চলছে।‘ 

মোদীকে নিশানা করে এদিন মমতা বলেন, ‘ ব্যাঙ্কের টাকায় কেউ কেউ ফূর্তি করছে। আর তাঁদেরকেই আড়াল করছে কেন্দ্র।‘  তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক নয়, আরও অনেক ব্যাঙ্ক এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরবো। যারা দুর্নীতিতে জড়িত, তাঁদের নিরাপত্তা দিচ্ছে কারা?  ভারতবর্ষের দুর্ভাগ্য যে বিজেপির মতো একটা দল রাজত্ব করছে।‘

আরও পড়ুন: অকথ্য যৌন অত্যাচারের পর গোপনাঙ্গে ঢোকানো হল ধাতব বস্তু, বেরিয়ে এল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ!

ত্রিপুরা নির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ গণতন্ত্র কখনও টাকার কাছে বিক্রি হয় না। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই।‘

চাল দুর্নীতি নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। খাদ্য দফতরের সেক্রেটারিকে আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে বলেন।  কোনও ব্যবসায়ী খারাপ চাল দিলে, সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি চালের মিলগুলিতে সাইপ্রাইজ ভিজিটেরও পরামর্শ দেন তিনি। ডিআইজিকে বলেন, ‘চাল দুর্নীতি ইস্যুতে সিআইডি যে সমস্ত কেসগুলি দেখছে, সেগুলিতে তাঁদের সাহায্য করুন। দ্রুত এর নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।‘

.