Malbazar: স্কুলে এসে 'মিড ডে মিল' খেয়ে গেল হাতি! ভাঙা স্কুল নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয়রা
সব থেকে বড় সমস্যা স্কুলটির ক্ষতিগ্রস্ত দেওয়াল। এখন ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের ভেতরে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পড়াশোনা করানোই ভয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, কিছু কিছু জায়গায় দেওয়ালের ইট আলগা হয়ে গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: খাবারের খোঁজে স্কুল ভেঙে মিড ডে মিলের চাল খেয়ে গেল হাতি। রবিবার রাতে মালবাজার ব্লকের গজলডোবা সাত নম্বর কলোনি এলাকায় দুটি হাতি এসে ভেঙে দিল স্কুলের দেওয়াল। খেল মজুত করে রাখা মিড ডে মিলের ৩ বস্তা চাল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে তারঘেরা জঙ্গল থেকে খাবারের খোঁজে দু'টি হাতি হানা দেয় গজলডোবার সাত নম্বর কলোনির পশ্চিম প্রেমগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রথমে হাতি দুটি স্কুলের চারপাশে ঘোরাঘুরি করে। এরপর স্কুলের একটি দেওয়াল ভেঙে স্কুলের ভেতর থেকে শুঁড় দিয়ে বের করে নেয় তিন বস্তা চাল। এরপর কিছু চাল ওখানেই সাবাড় করে হাতি দুটি। ভোরের দিকে জঙ্গলে চলে যায়।
স্কুলের শিক্ষক সোমনাথ মল্লিক বলেন, এর আগেও দু'বার হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল স্কুলটি। এবার আবার ভাঙল। তিনি বলেন, আমি শুনেছি শনিবার রাতে দু'টি হাতি এসে স্কুল ভেঙে মিড ডে মিলের চাল খেয়ে গিয়েছে। তবে সব থেকে বড় সমস্যা স্কুলটির ক্ষতিগ্রস্ত দেওয়াল। এখন ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের ভেতরে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পড়াশোনা করানোই ভয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, কিছু কিছু জায়গায় দেওয়ালের ইট আলগা হয়ে গেছে। যখন-তখন পুরো দেওয়ালটি ভেঙে পড়তে পারে। অবিলম্বে স্কুলটির মেরামত প্রয়োজন।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাতে এলাকায় টহলদারি বাড়ানো হবে। সরকারি নিয়মে আবেদন করলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ পাবে।
এদিকে শনিবার রাতেও এ জাতীয় এক ঘটনা ঘটেছে। শনিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা-বাগানে। এই চা-বাগানের ১৮ নম্বর লাইনের এক শ্রমিকের ঘর ভাঙল হাতির তাণ্ডবে। ঘটনায় বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রী-পুত্র কোনওরকম পালিয়ে বাঁচে। এখনও আতঙ্ক কাটেনি তাঁদের। রবিবার সকালেও পরিবারটির চোখ-মুখে আতঙ্কের ছাপ দেখা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সারা বছরই বাগানে হাতির অত্যাচার লেগে থাকে। বন দপ্তরের খুনিয়া রেঞ্জ জানিয়েছে, হাতির গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।