Canning Murder: ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনকে খুন, পুলিসের জালে মূল অভিযুক্ত
ভিনরাজ্যে গা-ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না! মোবাইল সূত্র ধরে খুঁজে বের করল পুলিস। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হচ্ছে বাংলায়।
প্রসেনজিৎ সরদার ও পিয়ালী মিত্র: ব্যবধান মাস খানেকের। ক্যানিংয়ে প্রথমে গুলি, তারপর ধারালো অস্ত্রের খুন করা হয় তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনকে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য়ে কে? কেরালার কোঝিকোড় থেকে এবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতকে ট্রান্সজিট রিমান্ডে আনা হচ্ছে এ রাজ্যে।
রাজ্যে জুড়ে তখন একুশের জুলাইয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। ৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তুতি বৈঠকে আয়োজন করা হয়েছিল ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের গোপালপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। সেদিন সকালে সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ক্য়ানিং-গোপালপুর পঞ্চায়েতের সদস্য় স্বপন মাঝি। সঙ্গে ছিলেন দলের আর দুই নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় কচুয়া এলাকায় একটি পার্কের কাছে ৩ তৃণমূল নেতার পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। তাঁদের লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয়। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত ৩ জনকেই আবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি ও তাঁর দুই সঙ্গীর। গুলির আওয়াজ শুনে যখন বাইরে বেরোন স্থানীয় বাসিন্দারা, তখন বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আরও পড়ুন: Siliguri: গেটে ভেঙে পুরসভায় ঢুকল বামেদের মিছিল! শিলিগুড়িতে ধুন্ধুমারকাণ্ড
কীভাবে খোঁজ মিলল মূল অভিযুক্তের? পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার পরেই গা-ঢাকা দিয়েছিল রফিকুল নামে ওই ব্য়ক্তি। তার সন্ধানে একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছিল বারুইপুরের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও ক্যানিং থানার পুলিস। নজর রাখা হচ্ছিল পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের ফোনেও। মোবাইলের সূত্রে ধরেই জানা যায়, কেরালায় রয়েছে রফিকুল। অবশেষে কোঝিকোড় থেকে গ্রেফতার করা হল তাকে। কেন খুন? তদন্তকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রফিকুল। এই কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূল নেতা স্বপন মাঝি।
এর আগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতুলিতে ধরা পড়ে আফতাফউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার কয়েক দিন আগেই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেইমতো হামলাকারীদের আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় আফতাফউদ্দিন। বাইকে চেপে স্বপন মাঝিদের অনুসরণ করছিল সে এবং আততায়ীদের লোকেশন জানিয়ে দিচ্ছিল! এরপরই কচুয়া এলাকা রাস্তা আটকে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
এদিকে কয়েকদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে খুন হন এক তৃণমূলকর্মী। সকালে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জানে আলম গাজি নামে ওই ব্যক্তি। মাঝ-রাস্তায় তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। এরপর তাঁকে টেনে নিয়ে প্রথমে গুলি, তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়! গ্রেফতার ৪।