আগুন ঝরছে! প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ১ প্রিসাইডিং অফিসার সহ ২ ভোটকর্মী
রবিবার রাঢবঙ্গের ৬ আসনে ভোট। ৬ কেন্দ্রেই তাপপ্রবাহ চলবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ২ ভোটকর্মী সহ এক প্রিসাইডিং অফিসার। ডিআরডিসি কেন্দ্রে ইভিএম নিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ভোটকর্মী ও এক প্রিসাইডিং অফিসার। অন্যদিকে, প্রশিক্ষণ নিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ভোটকর্মী।
রবিবার রাঢবঙ্গের ৬ আসনে ভোট। তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও মেদিনীপুর- এই ৬ আসনে ভোট আগামিকাল। এই ৬ কেন্দ্রেই তাপপ্রবাহ চলবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বেলা একটু গড়াতেই মাথার উপর আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রয়েছে আর্দ্রতা। ফলে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গেই প্যাঁচপেচে ঘামে অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় হাঁসফাঁস করছে মানুষ। বেলা বাড়তেই লু শুরু হয়ে যাচ্ছে। প্রবল গরম হাওয়া ঝলসে দিচ্ছে চোখ-মুখ।
এদিন বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ডিআরডিসি কেন্দ্রে ইভিএম-ভিভিপ্যাট সংগ্রহ করতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ভোটকর্মী। প্রবল গরমেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ডিআরডিসি কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্সার পর বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ভোটকর্মীকে। ডিআরডিসি কেন্দ্রে উপযুক্ত চিকিত্সা পরিষেবা না থাকার অভিযোগ করেছেন অসুস্থ ভোটকর্মীর সহকর্মীরা।
অন্যদিকে, একই পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীরপুরের তমলুকেও। ভোটের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই, প্রচণ্ড গরমে ডিআরডিসি কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক প্রিসাইডিং অফিসার। কোলাঘাটের কেটিপিপি হাইস্কুল মাঠে তৈরি হয়েছে ডিআরডিসি কেন্দ্র। এদিন সকালে সেখানে দায়িত্ব বুঝে নিতে আসেন প্রিসাইডিং অফিসার ও তাঁর সহযোগী। সেখানেই প্রচণ্ড গরমে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিরাপত্তা ইস্যুকে ছাপিয়েও যেন বড় হয়ে উঠেছে গরম! অসহ্য গরমে কী করে ভোট হবে? উত্তর হাতড়াচ্ছেন ভোটকর্মীরা।
আরও পড়ুন, 'বাংলাদেশ থেকে আসা বহিরাগতরাই বসিরহাটে হিংসা ছড়িয়েছিল', হাড়োয়ায় দাবি মমতার
আগামিকালের পর ১৯ মে শেষ দফার ভোট সর্বাধিক ৯ কেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন প্রশিক্ষণ নিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক শঙ্কর কর নামে ভোটকর্মী। আগরপাড়ার বাসিন্দা শঙ্কর কর আজ বিধাননগর কলেজে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন। দুপুরবেলা হঠাত্ই প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থবোধ করতে থাকেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।