লোকসভা নির্বাচন ২০১৯: তৃণমূল প্রার্থী তালিকায় 'তারকা চমক' মিমি-নুসরত
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে জীবনে 'নতুন পর্ব' শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কে জায়গা পাবেন? আর কার নাম বাদ যাবে? নতুন মুখ থাকছে কে? তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার অনেক আগে থেকেই গুঞ্জন চলছিল বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে। তার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় একজনের নাম শোনা গিয়েছিল বটে, কিন্তু আরেকজনের নাম একবারের জন্যও উঠে আসেনি আলোচনায়। যদিও, চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা হতেই দেখা গেল বড় চমক রয়েছে প্রার্থী বাছাইয়ে। প্রার্থী হচ্ছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ও নূসরত জাহাঁ।
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরের মতো হেভিওয়েট আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর আসন থেকে জিতে সাংসদ হন সুগত বসু। এবার যাদবপুর থেকে প্রার্থী হিসেবে ২ জনের নাম শোনা যাচ্ছিল। একজন বর্তমান সাংসদ সুগত বসু, অপরজন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু, শেষপর্যন্ত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিক ঘোষণা হতেই দেখা গেল, সুগত বসু বা অরূপ বিশ্বাস নন। যাদবপুর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, দিন পাঁচেক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ছবির ক্যাপশনে নায়িকা লিখেছিলেন, "নিউ ডেজ, নিউ বিগিনিংস।" সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্টে জীবনে 'নতুন পর্ব' শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। জীবনে কোন নতুন ইনিংস শুরুর কথা বলতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী, সেই নিয়ে রীতিমতো সেদিন ধোঁয়াশায় পড়ে যান নেটিজেন থেকে ফ্যানেরা।
মিমির পাশাপাশি-ই আরেক তারকা চমক নূসরত জাহাঁ। বসিরহাট কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে নূসরত জাহানকে। বসিরহাট আসনে বর্তমান সাংসদ ছিলেন ইদ্রিশ আলি। সোমবারই জানা গিয়েছিল যে এবার আর ইদ্রিশ আলিকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। তাঁর জায়গায় মোর্তাজা হোসেনকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। শেষে সব জল্পনায় জল ঢেলে বসিরহাট থেকে প্রার্থী করা হল নূসরত জাহাঁকে।
অন্যদিকে, প্রথমে মুনমুন সেন ও শতাব্দী রায়কে প্রার্থী করা হবে না বলে শোনা গেলেও শেষপর্যন্ত দুজনকেই প্রার্থী করা হয়েছে। তবে বাঁকুড়ার পরিবর্তে আসানসোল থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মুনমুন সেনকে। শতাব্দী রায়কে বীরভূম থেকে-ই প্রার্থী করা হয়েছে। আর ২০১৪-র মতো এবারও ঘাটাল থেকে প্রার্থী করা হয়েছে দীপক অধিকারী (দেব)-কে।