ঝাড়গ্রামের পর এবার বাঁকুড়া, করোনা মোকাবিলায় ফের Micro Containment Zone রাজ্যে
বাদ গেল না হুগলির চন্দননগরও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঝাড়গ্রামের পর এবার বাঁকুড়া। বাদ গেল না হুগলির চন্দনগরও। করোনা মোকাবিলায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট চালু রাজ্যের আরও দুই প্রান্তে। এলাকায় ঢোকার মূল রাস্তা সিল করে দিল প্রশাসন। বসল পুলিসি প্রহরা।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরের খ্রিষ্টানডাঙা ও প্রতাপবাগান এলাকায় করোনা আক্রান্ত চারজন। তাঁদের পরিবারকে ঘিরেই ওই দুটি এলাকার চারটি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করল প্রশাসন। ফলে এখন আর এলাকা ছেড়ে কেউ বাইরে যেতে পারছেন না, বাইরে কাউকে এলাকায় ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তা সিল করাই শুধু নয়, মাইক্রো মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সীমানায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস।
আরও পড়ুন:বকখালির সমুদ্রে ট্রলার ডুবি, ১৪ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা
এদিকে করোনা আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের যাতে কোনওভাবেই বাইরে বেরোতে না হয়, সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা। এদিন সকালে পুরসভার তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় চাল, জাল, আটা, শাক-সব্জি-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
হুগলিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি চন্দননগরে। শহরের ৮টি ওয়ার্ডকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করল প্রশাসন। গতকাল রাতে মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরতো অনুরোধ করেছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ১ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তবে, কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যদি ফের সংক্রমণ বাড়ে, তাহলে? নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করে জেলায় করোনা পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ, প্রয়োজনে হটস্পট চিহ্নিত করে কনটেনমেন্ট জোন বা মাইক্রো কনটেনমেন্ট তৈরি করতে হবে।