ঐতিহ্যের গেরুয়া নয়, নীল সাদাতেই রং করতে 'বাধ্য' স্কুল

"স্কুলের গেরুয়া রং ঐতিহ্যের বাহক। ৭২ বছর আগে রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে এই স্কুল নির্মিত হয়। তখন থেকেই এই স্কুলের রং গেরুয়া। এখানকার মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি, এই বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করার জন্য।"

Updated By: Feb 23, 2018, 01:14 PM IST
ঐতিহ্যের গেরুয়া নয়, নীল সাদাতেই রং করতে 'বাধ্য' স্কুল
ছবি- ফেসবুক

নিজস্ব প্রতিবেদন: গেরুয়া না কি সাদা নীল? স্কুল বিল্ডিংয়ের রং নিয়ে সংঘাতে ডায়মন্ড হারবারের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল এবং রাজ্য সরকার। স্কুল কতৃপক্ষ চাইছে, দালানের রং থাকুক গেরুয়া। রাজ্য সরকারকে একটি চিঠিতে তারা জানিয়েছে, স্কুলের রং গেরুয়া থাকাই উচিত, কারণ এটা তাদের ঐতিহ্য। কিন্তু রাজ্য তা মানতে নারাজ।

সরকারই রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্কুল বিল্ডিংয়ের সমস্ত দেওয়াল রং করতে। যেহেতু অধিকাংশ স্কুলই সরকারি সহায়তা প্রাপ্ত সেহেতু রং করার টাকাও দিচ্ছে সরকার। আর সে কারণেই রাজ্য সরকারের 'অফিসিয়াল কালার' নীল সাদাতেই স্কুল বিল্ডিং রং করতে বাধ্য থাকছে স্কুল কতৃপক্ষ। ওয়াকিফহাল মহলের একাংশ মনে করছে, এই নির্দেশিকার মাধ্যমে সরাসরি না হলেও ঘুরিয়ে নীল সাদা রং করতেই কার্যত বাধ্য করা হচ্ছে সমস্ত সরকারি সহায়তা প্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে। 

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় ফাঁক, স্বীকার করল নবান্নের

এই বিষয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "স্কুলের গেরুয়া রং ঐতিহ্যের বাহক। ৭২ বছর আগে রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে এই স্কুল নির্মিত হয়। তখন থেকেই এই স্কুলের রং গেরুয়া। এখানকার মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি, এই বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করার জন্য।"

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুল এর আগেও একাধিকবার শিরোনামে এসেছে। একবার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বাল্যবিবাহ রুখে দিয়ে সামাজিক বার্তা দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক চন্দনবাবু। এমনকী বাঘে-কুমীরে খাওয়া মানুষের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে প্রতি শীতেই উদ্যোগ নেয় এই কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল। বর্তমানে প্রায় ৩,৫০০ পড়ুয়া এই স্কুলে পড়াশুনা করে। গোটা স্কুলটিই সিসিটিভি দ্বারা পরিবেষ্টিত।

.