কলকাতায় উদ্ধার পচা মাংস হাড়গোড় বোঝাই ট্রাক
শুক্রবার গভীর রাতে এয়ারপোর্ট ২ নম্বর গেটের কাছে তল্লাশির সময় একটি লরি থেকে উত্কট গন্ধ পান পুলিসকর্মীরা। সেটিকে দাঁড় করিয়ে ভিতরে উঁকি দিতেই দেখা যায় পচা মাংস ও হাড়। এর পরই লরিটিকে আটক করে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাগাড়কাণ্ড নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই খাস কলকাতায় ধরা পড়ল পচা মাংস ও হাড়গোড় বোঝাই লরি। শুক্রবার গভীর রাতে এয়ারপোর্ট ২ নম্বর গেটের কাছে লরিটিকে আটক করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিস। তবে আটক লরি কাদের হেফাজতে থাকবে এই নিয়ে পুলিস ও ট্রাফিক পুলিসের বিবাদের মধ্যেই পালায় লরির চালক ও খালাসি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে এয়ারপোর্ট ২ নম্বর গেটের কাছে তল্লাশির সময় একটি লরি থেকে উত্কট গন্ধ পান পুলিসকর্মীরা। সেটিকে দাঁড় করিয়ে ভিতরে উঁকি দিতেই দেখা যায় পচা মাংস ও হাড়। এর পরই লরিটিকে আটক করে পুলিস। আটক করা হয় চালক ও খালাসিকে। তাদের জেরা করে জানা গিয়েছে লরিটি বসিরহাটের বেড়াচাঁপা থেকে পচা মাংস ও হাড়গোড় নিয়ে বিহারে যাচ্ছিল।
ওদিকে আটক হওয়া লরি কাদের হেফাজতে থাকবে তা নিয়ে বিবাদ বাঁধে এয়ারপোর্ট থানার পুলিস ও বিধাননগর ট্রাফিক পুলিসের মধ্যে। দু'পক্ষেরই দাবি, লরি থাকবে তাদের হেফাজতে। পুলিসকর্মীদের মধ্যে এই বিবাদের সুযোগে এলাকা থেকে চম্পট দেন লরির চালক ও খালাসি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কলেজ থেকে ফেরার পথেই গুলিবিদ্ধ টিএমসিপি সদস্য
পচা মাংস কাণ্ডে এর আগেও জড়িয়েছে বসিরহাটের নাম। কলকাতায় পচা মাংস কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কওসর আলি ঢালি বসিরহাটেরই বাসিন্দা। সিটি সেন্টার ২-এর পিছনে তাঁর বিশাল মুরগির খামারে গিয়ে মেলে কয়েকশ' কুইন্টার মুরগির পচা মাংস। ঘটনার পর প্রায় ৩ মাস কাটতে চললেও এখনো কওসরের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিস।