Kamardiha: এগরার বিস্ফোরণস্থলের কাছে ফের বাজি কারখানার হদিশ, এলাকা ঘিরে রেখেছে গ্রামবাসীরা
গ্রামবাসীরা খবর দিয়েছেন পুলিসকে। তাঁরা জানিয়েছেন যে এর আগে এই বাজি কারখানায় চার বছর আগে একবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয় এবং চার জন আহত হন। ঘটনার পর পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং টহল দেয়। পুলিস এই ঘটনায় মুখ খুলতে চায়নি। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
কিরণ মান্না: ফের বাজি কারখানার হদিশ। খাদিকুল গ্রামের বিস্ফোরণ স্থল থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে কামারডিহাতে একটি বাজির কারখানা গ্রামবাসীরা ঘিরে রেখেছে। কারখানার মধ্যে বারুদ বাজি তৈরির প্রচুর সামগ্রী রয়েছে বলে অভিযোগ।কারখানার মালিকের নাম চৈতন মান্না। বর্তমানে চৈতন পলাতক বলে জানা গিয়েছে।
একটি প্রত্যক্ত জায়গা সেখানে গতকাল রাতে জানা যায় এলাকার পরিচিত বাজি কারিগর চৈতন মান্নাকে সেই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এরপর গ্রামবাসীরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুযোগ বুঝে চম্পট দেয়। কিন্তু সেই প্রত্যক্ত বাড়ির মধ্যে দেখা গিয়েছে প্রচুর পরিমাণে বারুদ এবং বাজি তৈরির মশলা এবং অন্যান্য সামগ্রী সেখানে রয়েছে। এই মুহূর্তে গ্রামবাসীরা বাড়িটিকে ঘিরে রেখেছে। পুলিসকেও খবর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Kultali: ফের তৃণমূলে ভাঙন, আড়াই হাজার তৃণমূল কর্মীর যোগ সিপিএম-এ
জানা গিয়েছে সেখানে বাড়ে বাড়ে পুলিস এসে তল্লাশি চালালেও কিছু পাওয়া যায়নি। কিন্তু এত মশলা অথবা বাজি তৈরির সামগ্রী কি করে রাতারাতি এল বা খাদিকুলের বিস্ফোরণের পরে এইসব সামগ্রী লুকানোর জন্যই এখানে আনা চেষ্টা করেছে চৈতন মান্না এমনটাই অভিযোগ এলাকার মানুষের।
গ্রামবাসীরা খবর দিয়েছেন পুলিসকে। তাঁরা জানিয়েছেন যে এর আগে এই বাজি কারখানায় চার বছর আগে একবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয় এবং চার জন আহত হন। ঘটনার পর পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং টহল দেয়।
আরও পড়ুন: Madhyamik Result Live: এগিয়ে সেই জেলাই? মাধ্যমিকের রেজাল্ট আউট সরাসরি
যদিও তাঁদের দাবি ভেতরে ভেতরে পুলিসের সঙ্গে আঁতাত করে অথবা অন্যভাবে গোপনে বাজি কারখানা চলছিল। খাদিকুলে বিস্ফোরণের পরেই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিস। গতকাল থেকেই এই সমস্ত সামগ্রী এই পরিত্যক্ত যায়গায় জড়ো করা হয়েছে এবং গোপনে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
পুলিস এই ঘটনায় মুখ খুলতে চায়নি। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
অন্যদিকে, কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। বিস্ফোরণের পরে শরীরে প্রায় ৭০ শতাংশ বার্ণ ইনজুরি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। কটকের হাসপাতালেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা। তাঁর ছেলে এবং ভাইপো তাঁকে কটক পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ভানু বাগের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। বিস্ফোরণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি নিজে। মুখ, হাত, পা পুড়ে যায় তাঁর। বিস্ফোরণের রাতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। কটকের হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর।