Kalna: নাবালিকাকে বিয়ের জেরে গ্রেফতার, জামিন পেয়ে চরম পথ বেছে নিল যুবক
Kalna: মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক বর্ধমান জেলায় রায়না থানা এলাকার একটি রাইসমিলে কাজ করতো। সেখান থেকে কর্মসূত্রে খন্ডঘোষ থানা এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সঞ্জয় রাজবংশী: কাজের সূত্রে নাবালিকার সঙ্গে আলাপ ও প্রেম। শেষপর্যন্ত মন্দিরে গিয়ে বিয়ে। তার জেরেই অপহরণের দায়ে হাজত বাস হয়ছিল কালনায় যুবকের। জেল থেকে জামিন পেয়েই আত্মহত্যা করলেন ওই যুবক। পরিবারের দাবি, পুলিস অ্যারেস্ট করেছে, সমাজে কীভাবে মুখ দেখাব, এই অপমানেই আত্মঘাতী হয়েছে তাদের ছেলে। মৃত যুবকের নাম টিটু দাস।
আরও পড়ুন-করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কেন ফেল অ্যান্টি কলিসন প্রযুক্তি 'কবচ', জানলে চমকে যাবেন
শনিবার সকালে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত টিটু দাসের বয়স ২৩ বছর। কালনার পূর্বস্থলীর কালেকাতলা-১ পঞ্চায়েতের স্বরডাঙা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। কিছুদিন আগে নাবালিকা অপহরণের অভিযোগে বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানার পুলিস টিটুকে গ্রেফতার করেছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ বর্ধমান জেল থেকে জামিন পেয়ে পূর্বস্থলীর বাড়িতে ফিরে আসে ওই যুবক। এদিন সকালে শোবার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পূর্বস্থলী থানার পুলিস। যদিও গতকাল থেকে তার মা, বাবা বাড়িতে ছিল না। প্রতিবেশীদের ধারনা পুলিসি হয়রানির অপমান সহ্য না করতে পেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে টিটু দাস।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক বর্ধমান জেলায় রায়না থানা এলাকার একটি রাইসমিলে কাজ করতো। সেখান থেকে কর্মসূত্রে খন্ডঘোষ থানা এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের সূত্রে ধরে দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে একটি মন্দিরে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করে।
অন্যদিকে নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল অপহৃতার পরিবার। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় টিটু দাসকে। নাবালিকাকেও উদ্ধার করা হয়। জামিনে পেয়ে পূর্বস্থলীর বাড়িতে চলে এসেছিল ওই যুবক। কিন্তু মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর অপমান যেন মেনে নিতে পারছিলো না টিটু। বাড়ি ফিরেই সে আত্মঘাতী হয় বলে সকলের অনুমান।
মৃত যুবকের এক প্রতিবেশী বৃদ্ধা জানান, ও সম্পর্কে আমার নাতি। বর্ধমানের এক মেয়ের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। মেয়েটার বয়স কম ছিল। ওরা পুলিস দিয়ে নাতিকে তুলে নিয়ে যায়। ওর মা-বাবা কাল কোর্ট থেকে জামিন করিয়ে নিয়ে এসেছে। রাতে আবার ওকে থানায় ডাকে। ওর বাবা-মা সকালে থানায় গিয়েছিল। মান সম্মানের ব্যাপার। তার থেকেই নাতি আত্মহত্যা করেছে।