রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে মুখ খুললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়
সংসদে পাস হওয়া কোনও নিয়ম রাজ্য মানবে না, এটা ভারতীয় গণতন্ত্রে হতে পারে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এখনই প্রয়োজন নেই। কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন হতেই পারে। বীরভূমের বোলপুরে দাঁড়িয়ে একথা বললেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
আজ বোলপুরে আসেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বোলপুরে দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে চলা বিক্ষোভের চরম বিরোধিতা করেন তিনি। বিজয়বর্গীয় তোপ দাগেন, সংসদে পাস হওয়া কোনও নিয়ম রাজ্য মানবে না, এটা ভারতীয় গণতন্ত্রে হতে পারে না। রাজ্যজুড়ে চলা অশান্তি, বিক্ষোভের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন বিজয়বর্গীয়।
অভিযোগ করেন, গত ১৩ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মানছি না বলে সরব হন। আর তারপর ১৪ তারিখ থেকেই রাজ্য়ে অশান্তি শুরু হয়। রেলকে লক্ষ্য করে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করে। বোলপুরের লজে বসে বিজয়বর্গীয় বলেন, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে কিনা, তা রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত। রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে অদূর ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতেও পারে।
আরও পড়ুন, মিলবে না বিমার পুরো টাকা, নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের জেরে মাথায় হাত বাস মালিকদের
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল সিনহা। পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। রাজ্যে তৃণমূল সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, নতুন বছরের শুরুতেই বিদায় নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাহুল বলেন, "আমরা নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে চাই না। কিন্তু এই অগ্নিগর্ভ অবস্থা যদি আর কয়েকদিন চলে, তবে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই। ২০২০ শুরুতেই বিদায় নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।"