Matua:গেরুয়া শিবিরে মতুয়া-ক্ষোভ, শান্তনু-সুব্রতদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ডাক মমতাবালার

হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ থেকে অম্বিকা রায় পিছু হঠলেও বাকীরা এখনও নিজেদের অবস্থানেই রয়েছেন

Updated By: Dec 26, 2021, 08:16 PM IST
Matua:গেরুয়া শিবিরে মতুয়া-ক্ষোভ, শান্তনু-সুব্রতদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ডাক মমতাবালার

নিজস্ব প্রতিবেদন: মতুয়া মহলে বাড়ছে ক্ষোভ। এর মধ্যেই শান্তনু, সুব্রতদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ডাক দিলেন মমতাবালা ঠাকুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে, বিজেপি নেতাদের ধৈর্য ধরার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

রাজ্যে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার পর থেকেই একটা ডামাডোল শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এর কেন্দ্রে মতুয়ারা। পুর ভোটের পর বিজেপির রাজ্য ও জেলা কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের একজনকেও রাখেনি রাজ্য বিজেপি। এরপরই একসঙ্গে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে চলে যান দলের ৫ বিধায়ক। ওই তালিকায় রয়েছেন হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যানীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মকুটমণি অধিকারী, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। কাকতালীয়ভাবে এরা সবাই মতুয়া সম্প্রদায়ের। 

রবিবার হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ থেকে অম্বিকা রায় পিছু হঠলেও বাকীরা এখনও নিজেদের অবস্থানেই রয়েছেন। গত লোকসভা থেকে এবার বিধানসভা নির্বাচন, বিজেপিকে দুহাতে ভোট গিয়েছে মতুয়ারা। এই ভোটে ভর করেই নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় একাধিক আসন পেয়েছে বিজেপি। এরপর কলকাতার পুরভোটে শোচনীয় ফলের পর মতুয়া বিধায়কদের বিদ্রোহে অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি। 

এনিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, অনেকেই ভুল করে করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। অনেককে বোঝাতে পারিনি। তবে পুর কমিটি তৈরি হয়নি এখনও। আমাদের কমিটিতে এখনও একটি ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ ফাঁকা রয়েছে। পুর কমিটির সদস্য সংখ্যা একশোর উপরে। সেই কমিটি এখনও গঠন হয়নি। সবাইকে অনুরোধ, ধৈর্য ধরুন। যে কোনও পরিবারে অশান্তি হয়। নিজেরা আলোচনা করে সমাধানসূত্র বের করে নেব। 

আরও পড়ুন- ফেসবুকে ব্যস্ত থাকা নিয়ে চরম অশান্তি, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী!

এদিকে, মতুয়া শিবিরে বিক্ষোভ নিয়ে আক্রমণের সুযোগ ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মতুয়াদের আবেগকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। তবে একটি বড় অংশের মানুষ বিজেপির বিভ্রান্তিকর প্রচারে কান দেয়নি। তারা তৃণমূলের সঙ্গেই ছিলেন। যারা বিজেপিকে বিশ্বাস করেছিলেন, সমস্য়াটা তাদের। 

এরকম এক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা বলেন, শুধু সুব্রত নন, যেকেউ তৃণমূলে স্বাগত। যারা তৃণমূল ছড়েছিল, এখন ফিরতে চায় তারা স্বাগত। তবে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।          

Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.