মাতালকে ঠান্ডা করল ঘটি গরম! নাজেহাল পুলিস
থানা থেকে বেরিয়ে আসে রাজু কর্মকার। কিন্তু মোবাইল ফোন তো থানায় জমা রয়েছে...ব্যাস! সে কথা মনে পড়তেই "আমার মোবাইল না দিলে আত্মহত্যা করব" বলে চিত্কার করতে করতে থানার সামনের রাস্তায় গড়াগড়ি খেতে থাকে মত্ত রাজু। এমন দৃশ্য দেখে মুহূর্তে ভিড় জমে যায় সেখানে। সেখানে ছুটে আসেন ওসি ট্রাফিক নিজেও। অবশেষে তাঁকে শান্ত করতে নিজের হাতে লেবুর রস চিপে চানাচুর, ঘটি গরম খাওয়ালেন ওই পুলিস কর্মী।
নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে, বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, আর পুলিসে ছুঁলে ৩৬। কিন্তু, মাতালে ছুঁলে? না, মত্ত ব্যক্তি ছুঁলে ঠিক কত ঘা তা জানা নেই। তবে মাতালের পাল্লায় পড়লে যে কি হয়, তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে জলপাইগুড়ির সদর থানার পুলিস।
ময়নাগুড়ির বাসিন্দা পেশায় কাঠ মিস্ত্রি রাজু কর্মকার অসামে কাজ করে। সম্প্রতি সে এসেছে জলপাইগুড়িতে। এলাকায় ফেরার পরই নিষিদ্ধপল্লীতে গিয়ে মদ খেয়ে মাতলামি করতে থাকে সে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে খবর আসে পুলিসের কাছে। এরপর পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তাঁকে। সেইসঙ্গে রাজুর মোবাইল ও টাকা জমা রেখে দেয় পুলিস এবং থানা চত্বরে বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে।
এরপরই কোনওরকমে থানা থেকে বেরিয়ে আসে রাজু কর্মকার। কিন্তু মোবাইল ফোন তো থানায় জমা রয়েছে...ব্যাস! সে কথা মনে পড়তেই "আমার মোবাইল না দিলে আত্মহত্যা করব" বলে চিত্কার করতে করতে থানার সামনের রাস্তায় গড়াগড়ি খেতে থাকে মত্ত রাজু। এমন দৃশ্য দেখে মুহূর্তে ভিড় জমে যায় সেখানে। সেখানে ছুটে আসেন ওসি ট্রাফিক নিজেও। কিন্তু মত্ত রাজুকে তো কিছুতেই ভোলানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- মশা মারতে ড্রোন দাগল কলকাতা পুরসভা
অবশেষে তাঁকে শান্ত করতে নিজের হাতে লেবুর রস চিপে চানাচুর, ঘটি গরম খাওয়ালেন ওই পুলিস কর্মী। আর এই গোটা দৃশ্যের সাক্ষী সমবেত উত্সাহী জনতা। এবার আপনিও দেখুন সেই অসাধারণ মুহূর্তের ভিডিও-