নজির গড়ল জলপাইগুড়ির মাদার চাইল্ড হাব

মিলি বর্মণ রায়ের স্বামী ছোটখাটো ব্যবসা করেন। ইচ্ছে ছিল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নাম করা নার্সিংহোমে ভর্তি করার। কিন্তু পরে নার্সিংহোমের রেট শুনে পিছিয়ে আসেন। ভর্তি করেন মাদার চাইল্ড হাবে।

Updated By: Feb 13, 2018, 04:48 PM IST
নজির গড়ল জলপাইগুড়ির মাদার চাইল্ড হাব

নিজস্ব প্রতিবেদন: একেবারে উলটপুরান। সরকারি  হাসপাতাল অথচ কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। ঝা চকচকে নামকরা বেসরকারি  হাসপাতালকে পরিচ্ছন্নতায়, তত্‍পরতায়  সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে জলপাইগুড়ির মাদার চাইল্ড হাব। তবে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্‍সা করাতে যেখানে গুচ্ছের খরচ,জলপাইগুড়ির মাদার চাইল্ড হাবে সেই  খরচের ব্যাপারটিই নেই।

মাদার চাইল্ড হাব। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মধ্যে তিনশো শয্যা বিশিষ্ট আরও একটি হাসপাতাল। পাঁচ তলা হাসপাতালটি শুধু মাত্র মা ও শিশুদের জন্য। আধুনীকতম চিকিত্‍সা ব্যবস্থা।  কিছুক্ষণ পরপরই হাসপাতাল পরিস্কার করা হচ্ছে। সদ্যজাত অসুস্থ হয়ে পড়লে রয়েছে সামলানোর সমস্ত রকম ব্যবস্থা।

মিলি বর্মণ রায়ের স্বামী ছোটখাটো ব্যবসা করেন। ইচ্ছে ছিল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নাম করা নার্সিংহোমে ভর্তি করার। কিন্তু পরে নার্সিংহোমের রেট শুনে পিছিয়ে আসেন। ভর্তি করেন মাদার চাইল্ড হাবে।

কী মন্ত্রে এমন ব্যবস্থা , কর্তব্যরত নার্স বললেন নতুন পরিকাঠামো আর সদিচ্ছা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের  এখন মূল অভিমুখ মা ও শিশুর সুস্থাস্থ্য। আর সেই লক্ষ্যেই চাইল্ড হেলথ পোগ্রামে প্রায় পঁচিশ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এই হাসপাতাল। এখানে রয়েছে সিক অ্যান্ড নিওনেন্টাল কেয়ার ইউনিট, নিউ বর্ন বেবি কর্নার, সিক নিউবর্ন স্টেবিলাইজেশন ইউনিট। রয়েছে বাচ্চাদের খেলার জায়গা,  টিভিতে চলছে কার্টুন। হাসপাতাল অথচ মনে হচ্ছে না হাসপাতালে ভর্তি।

মার্তৃযানে হাসাপাতালে আসা এবং যাওয়া, চিকিত্‍সা , এমনকি হাসপাতালের খাওয়া দাওয়া সব কিছুই বিনা খরচে। এখানেই শেষ নয় হাসপাতালে ভর্তি হলে দেওয়া হচ্ছে ওয়েলকাম কিট আবার ডিসচার্জ হওয়ার সময় ফেয়ারওয়েল কিট। আরও আছে হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার পর পুষ্টিকর খাবার জন্য দেওয়া হচ্ছে হাজার টাকা।

.