Mamata-র শপথের পর থেকেই সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন আপনি, Dhankhar-কে বিঁধলেন কল্যাণ
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, দয়াকরে বিজেপির হয়ে কথা বলবেন না। সংবিধান অনুযায়ী কাজ করুন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোচবিহারের অন্যান্য জায়গায় ভোট পরবর্তি হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গেও এদিন কথাও বলবেন তিনি। মঙ্গলবার রাজ্যপালের ওই ঘোষণার পরই একের পর এক টুইট করে ধনখড়কে নিশানা করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেছেন, তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার দিন থেকেই রাজ্য সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন রাজ্যপাল। ভোট পরবর্তি হিংসার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই দায়ী করছেন।
.@jdhankar1,from the moment of oath ceremony of Hon'ble CM Ms.Mamata Banerjee you are interfering with the State Government's administration and blaming the present Govt. for post-poll violence.(1/10) pic.twitter.com/ySQksDT2na
— Kalyan Banerjee (@KBanerjee_AITC) May 11, 2021
Immediately after taking oath by Ms. Mamata Banerjee as CM, she has taken strict stand to stop post-poll violence and records speak that on the day the Hon'ble CM was sworn in on May 5, 2021 there were 6 clashes, but no deaths.(2/10)
— Kalyan Banerjee (@KBanerjee_AITC) May 11, 2021
Since then, excepting 1 death at Khairasol of a TMC Supporter, no major clashes from May 8, 2021 till date has occured.Only 4 clashes took place on May 6 & May 7 but no deaths occured. Prior to May 5, when the entire law and order was under ECI, 16 deaths occured.(3/10)
— Kalyan Banerjee (@KBanerjee_AITC) May 11, 2021
আরও পড়ুন-রাজ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, একদিনে ২০ হাজার পেরিয়ে গেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা বন্ধের আর্জি জানিয়েছিলন মমতা। শুধু তাই নয়, যারা ওই হিংসার সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, মমতা যেদিন শপথ নেন সেদিন রাজ্যে ৬টি রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছিল। কেউ মারা যাননি। গত ৬ মে ও ৭ মে রাজ্যে ৪টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। কেউ মারা যাননি।
গত ৫ মে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তার আগে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের(EC) হাতে। সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে কল্যাণের দাবি, ওই সময় রাজ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসায়। ৫ মে-র পর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার উন্নতির কথা না বলে রাজ্যপাল বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে চলেছেন ও বিজেপির পক্ষে কথা বলছেন। খোদ কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশাংসা করেছে।
আরও পড়ুন-চিকিৎসার নামে যেন অক্সিজেনের অপচয় না হয়: নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের
ধনখড়কে সরাসরি নিশানা করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, যতদিন আপনি রাজ্যপাল রয়েছেন ততদিনই আপনি মমতা সরকারের সমালোচনা করে গিয়েছেন। কিন্ত এবারের নির্বাচনে বাংলার মানুষ আপনার ক্ষোভের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এই জনাদেশ থেকে আপনার কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। আপনি যা করছেন তা একেবারে অনৈতিক। দয়াকরে বিজেপির হয়ে কথা বলবেন না। সংবিধান অনুযায়ী কাজ করুন।