বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের পর বীরভূম, পতঙ্গ হানায় ঘুম ছুটেছে চাষিদের
যা দেখে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরাও। খবর পেয়ে পরিদর্শনে যান কৃষি দফতরের কর্মীরাও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার বীরভূমে পতঙ্গ আতঙ্ক।
বীরভূমের সদাইপুরের সাহাপুর গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েতের পিছনের জঙ্গলে হাজার হাজার অজানা পোকার দেখা মিলেছে। আর এই পোকাগুলি দেখতে একেবারেই সেই বিষাক্ত পতঙ্গের মত। পোকাগুলি নিমেশের মধ্যেই খেয়ে ফেলছে গাছের পাতা। যা দেখে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরাও। খবর পেয়ে পরিদর্শনে যান কৃষি দফতরের কর্মীরাও।
গ্রামের বাসিন্দা মাতুল দাস জানান, "পোকাগুলি নিমেশে গাছের পাতা খেয়ে নিচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা ফসলের ক্ষতি না করে! খবর পেয়ে পুলিশ বিষয়টি দেখে গিয়েছে, দেখে গিয়েছেন পঞ্চায়েতের সদস্যরাও।"
দুবরাজপুর কৃষি দফতরের এক আধিকারিক সৌরভ কুণ্ডু এই পোকাগুলিকে পতঙ্গ নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, "এই পোকাগুলিই সেই বিশেষ পতঙ্গ। বিষয়টি জেলা কৃষি দফতরকেও জানিয়েছি। যদিও এখনও পর্যন্ত ফসলে এদের প্রকোপ দেখা দেযনি। চাষিদের সতর্ক করা হয়েছে। আমরা পদক্ষেপ করছি।"
করোনা ও আমফানের জো়ডা আক্রমণের মাঝেই পতঙ্গের প্রকোপ দেখা দিতেই সবথেকে বেশি আশঙ্কায় দিন গুনছেন এলাকার চাষিরা। কারণ এখনও মাঠ থেকে ধান তোলা হয়নি। ধান তোলার কাজ চলছে। আর পতঙ্গ আক্রমণ করলে, বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন এই চাষিরা। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনও তৎপর। কীভাবে এই পতঙ্গের মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
আরও পড়ুন: আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আজ রাজ্যে সাত সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
কেন এই পতঙ্গ নিয়ে এত আতঙ্ক চাষিদের মনে?
১২ টি প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রজাতি হলো মরু পতঙ্গ (Desert Locust), আর ভারতে এরই প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। এমন একটি পতঙ্গ যা সারাদিনে তার ওজনের সমপরিমাণ খাবার খেয়ে নিতে পারে। আর সেখানে আশঙ্কায় দিন গুনছেন চাষিরা।