হাঁসুয়ার কোপে শাশুড়ির ডান হাত কেটে ফেলল জামাই
ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় সন্তোষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাঁসুয়ার এক কোপ। আর তাতেই ডান হাত কাটা পড়ল শাশুড়ির। জামাইয়ের এই ‘কীর্তিতে’ আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের সাঁয়া গ্রাম। ওই গ্রামেই শ্বশুরবাড়ি সঞ্জয় রাউতের। গ্রামের বাসিন্দা বাদল পন্ডার বড় মেয়েকে সে বছর দশেক আগে বিয়ে। শুরুর দিকে সব স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির বদল হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় গোলমাল।
আরও পড়ুন: আপাতত গ্রেফতার নয় রাজীবকে, তবে জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট, বাড়ি গিয়ে করা যাবে জেরা
সেই দাম্পত্য কলহে স্বাভাবিকভাবেই জড়িয়ে পড়ে দুই পরিবার। গ্রামবাসীদের মধ্যস্থতায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। শেষপর্যন্ত সন্তোষের স্ত্রী বাপেরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
এদিকে সন্তোষ চলে যায় ভিনরাজ্যে কাজ করতে। মাসখানেক আগে সে গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু তার পরও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও যোগাযোগ ছিল না।
অথচ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ আচমকা সাঁয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয় সন্তোষ। শ্বশুরবাড়িতে তখন ছিলেন তাঁর শাশুড়ি নমিতা পন্ডা। তাঁর সঙ্গে সন্তোষের বচসা শুরু হয়। সেই বচসা চলাকালীন সন্তোষ আচমকা হাঁসুয়া দিয়ে শাশুড়িকে আক্রমণ করে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কার্যালয় দখল বিজেপির, থানায় বিক্ষোভে শাসক দলের বিধায়ক
সন্তোষের হাঁসুয়ার কোপে কেটে যায় নমিতার ডান হাত। এমনকী, নমিতার পিঠেও গুরুতর আঘাত লাগে। মাকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন সন্তোষের স্ত্রী মমতা। তাঁর গলায়, পিঠে ও যৌনাঙ্গে হাঁসুয়া দিয়ে কোপায় সন্তোষ।
তার পর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় সন্তোষ। এদিকে মা-মেয়ের চিত্কার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই নমিতা ও মমতাকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ফোন পেলেন বাবুল সুপ্রিয়, পূর্ণমন্ত্রী হওয়া নিয়ে জল্পনা
প্রথমে সেখানে তাঁদের চিকিত্সা শুরু হয়। কিন্তু সেখানে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার পরই তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।