রাতে ঘরে ঢুকেই স্বামী দেখেন, প্রেমিকের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠভাবে' শুয়ে স্ত্রী, তারপর...
ফাঁকা বাড়িতে নিত্য যাতায়াত ছিল প্রতিবেশী যুবক নাড়ুর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন স্বামী। আর তারপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রেমিককে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। স্বামীর আক্রোশের হাত থেকে নিস্তার পাননি স্ত্রীও। স্ত্রীকেও খুনের চেষ্টা করেন তিনি। পরে পুলিস এসে গুরুতর জখম অবস্থায় স্ত্রীকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামীকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে।
আরও পড়ুন, ডোমজুড়ে ব্যাঙ্ককর্মী খুনে ক্লু একটা কাপড়ের টুকরো
পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের দক্ষিণ বরোজ গ্রামের বাসিন্দা লালু হাতি। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন লালু। বাড়িতে লালুর স্ত্রী একাই থাকতেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে লুকিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন লালুর স্ত্রী। প্রতিবেশী যুবক নাড়ু জনার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। ফাঁকা বাড়িতে নিত্য যাতায়াত ছিল নাড়ুর।
স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি নজর এড়ায়নি লালুর। সন্দেহ অনেকদিন ধরেই করছিলেন। হাতেনাতে ধরতে বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীকে কিছু না জানিয়েই বাড়িতে এসে হাজির হন লালু। ঘরে পা দিয়েই লালু দেখেন, তিনি যা সন্দেহ করেছিলেন, সব সত্যি। ঘরে ঢুকতেই স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় চোখে পড়ে তাঁর। দেখেন, প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে শুয়ে রয়েছে স্ত্রী।
আরও পড়ুন, মোবাইলের স্ত্রিন ভরে উঠল 'রক্তে'! ভয়ঙ্কর গ্র্যানির খপ্পরে ৩ ছাত্র
এদৃশ্য দেখেই আর মাথা ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী লালু। সঙ্গে সঙ্গেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর প্রেমিক নাডুকে কুপিয়ে খুন করেন। শুধু প্রেমিককে খুন করেই ক্ষান্ত হননি লালু। তারপর স্ত্রীকেও খুনের চেষ্টা করেন তিনি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন স্ত্রী। তার চিত্কারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে বড় ঘোষণা হাইকোর্টের
তাঁরাই পুলিসে খবর দেন। পুলিশ গুরুতর জখম অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠায়। অন্যদিকে, নাড়ু জনার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কাঁথি মহকুমার মর্গে।