বাবার দেওয়া সোনার চেন লুকিয়ে রেখেছিল মেয়ে, জামাইয়ের হাতে হল মর্মান্তিক পরিণতি
জামাই সোনার চেনের আবদার করে। দাবি মতো ৩৪ হাজার টাকা দিয়ে একটি সোনার চেন দিয়েছিলেন শ্বশুর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের ৩ বছরের মাথায় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির কাজিপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার।
তাঁদের অভিযোগ, দাবি মতন পণ দিতে না পারার কারণেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই গৃহবধূকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য খুনের পর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পণের জন্য নিত্য অত্যাচার চলত। আরও অভিযোগ, থানায় খুনের অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি সালিশ সভার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে চাপ দেয় পুলিস ও তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধূপগুড়ির আইসি।
বছর তিনেক আগে ধূপগুড়ির গাদং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর নসুকান্ত রায়ের বড় মেয়ের বিয়ে হয় ওই একই এলাকার বাসিন্দা কমলেশ রায়ের সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য শুরু হয় অত্যাচার।
আরও পড়ুন, রেললাইনের পাশে মিলল যুবকের নিথর দেহ, মোবাইলে বান্ধবীর সঙ্গে কথাতেই কি মৃত্যু?
মৃতার বাবা নসুকান্ত রায় জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ির দাবি মেটাতে না পরলে মেয়েকে বাড়িতে আসতে দিত না। এমনকি ফোন করতেও দিত না। উলটে মদ খেয়ে এসে মেয়েকে মারধর করত কমলেশ। সম্প্রতি জামাই সোনার চেনের আবদার করে। দাবি মতো ৩৪ হাজার টাকা দিয়ে একটি সোনার চেন দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, স্বামী যাতে সেই চেন মদ কেনার টাকার জন্য বিক্রি না করে দেয়, তাই চেনটি নিজের কাছে রেখে দিয়েছিল ওই যুবতী। এই নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে চরমে ওঠে অশান্তি।
এরপর শনিবার সকালে শ্বশুরবাড়ির পাড়ার এক প্রতিবেশী ফোন করে নসুকান্তকে মেয়ের মৃত্যুর খবর জানান। ফোন পেয়েই মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ছুটে যান নসুকান্ত। সেখানে গিয়ে ঘরের ভিতর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। অভিযোগ, এরপরই অভিযোগ দায়েরের জন্য থানায় গেলে অসযোগিতা করে পুলিস। বিষয়টি সালিশি করে মিটিয়ে নিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন, পরকীয়ায় পথের কাঁটা সরাতেই প্রেমিককে নিয়ে স্বামী রামুয়াকে খুনের ছক
পরে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সহ শ্বশুরবড়ির ৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন নসুকান্ত রায়। এই ঘটনায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।