বিয়ের ৬ বছরের মাথায় 'সুখী' দাম্পত্যের মর্মান্তিক পরিণতি!
পাশাপাশি পাড়ায় থাকত দুজন। বিয়ে হয়েছিল সম্বন্ধ করে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার লিলুয়ায়। অভিযোগ, মৃতার শ্বশুরাবাড়ির লোকজন তাঁকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের পর ঝুলিয়ে দেয়। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লিলুয়া থানার পুলিস।
বছর ছয়েক আগে লিলুয়ার বাসিন্দা শুভাশিষ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় মৌমিতা মণ্ডলের। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুভাশিষদের পাশের পাড়াতেই থাকত মৌমিতা। সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় দুজনের। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য মৌমিতার উপর অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সারাক্ষণ বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী শুভাশিষ।
এই নিয়ে দিনে দিনে সাংসারিক অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এরপরই শনিবার মৌমিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করেছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মৌমিতা। যদিও, মৌমিতার বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৌমিতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আঘাত রয়েছে মাথায়, গায়ে, হাতে-পায়ে।
আরও পড়ুন, কটা ইলিশ চাই? অর্ডার করুন সরকারি অ্যাপে, হিমঘর থেকে সোজা পৌঁছে যাবে হেঁসেলে
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৌমিতার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে লিলুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী শুভাশিষ। তাঁর ফোনও সুইচড অফ রয়েছে।