Siliguri: ১ লাখ দেওয়ার পরও আরও চাই, পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুন!
Siliguri: মৃত গৃহবধূর বাবা সাইরুল মহম্মদ বলেন, কিছুদিন আগে মেয়ে আমাকে ফোন করেছিল। বলেছিল ওকে মারধর করছে। টাকা লাগবে। একবার ১ লাখ টাকা দিয়েছিলাম
নারায়ণ সিংহ রায়: দুই বছর আগে শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের ফাঁসিদেওয়া ব্লকের জালাস নিজামতারা অঞ্চলের সিংঙ্গীভাষা গ্রামের মোহাম্মদ উমের ছেলে মহম্মদ সমীরের সঙ্গে ফাঁসিদেওয়া অঞ্চলের চিয়ারু গজ গ্রামের মহম্মদ সাইরুলের মেয়ে হাফিজা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ১ লক্ষ টাকা পণ হিসাবে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হাফিজা খাতুন এর উপরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রতিনিয়ত অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ। তারই পরিণতিতে প্রাণ গেল গৃহবধূর এমনটাই অভিযোগ
আরও পড়ুন-এবার জোড়া ঘূর্ণাবর্তের উপস্থিতি! এর জেরে কেমন থাকবে কলকাতা-সহ রাজ্যের আবহাওয়া? বৃষ্টি হবে?
হাফিজার পরিবারের অভিযোগ, হাফিজার স্বামী মহম্মদ সমীর প্রতিনিয়ত তার স্ত্রীকে বেধড়কভাবে মারধর ও বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে। সেই সমস্ত কথা হাফিজা তার বাবাকে জানায় । এরপর কোনক্রমে ৩০ হাজার টাকা হাফিজার শ্বশুরবাড়ির লোককে দেওয়া হয়। অবশেষে গতকাল হাফিজা খাতুনের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাবাকে জানানো হয় তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। এর পরেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তারা গেলে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তাদের মেয়ে হাফিজাকে । ঘটনার পর থেকে পালাতক হাফিজা খাতুনের স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
মৃতের পরিবারের তরফ থেকে ফাঁসিদেওয়া থানায় এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস। অন্যদিকে হাফিজা খাতুনের পরিবার দোষীদের কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির দাবি করছেন। পুরো ঘটনা তদন্তে নেমেছে ফাঁসি দেওয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের সন্ধানে চালাচ্ছেন তারা।
মৃত গৃহবধূর বাবা সাইরুল মহম্মদ বলেন, কিছুদিন আগে মেয়ে আমাকে ফোন করেছিল। বলেছিল ওকে মারধর করছে। টাকা লাগবে। একবার ১ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। তার পর তিরিশ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। বাড়ি আসার কথা ছিল। আজ দুটো নাগাদ ওদের পাড়া থেকে ফোন এসেছিল। বলল, মেয়েকে মারধর করে মেরে ফেলেছে। এখন আর কী করব। ওর শ্বশুর বাড়ির লোকের সাজা চাই। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। বিয়ের পর থেকেই ওরা টাকার দাবি করছিল। তার জেরেই ওরা মেয়েকে মেরে ফেলল।
মৃতার মা বলেন, এক বছর হল বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর আবার টাকা চাইছিল। বলেছিলাম, এখন দিতে পারব না। দুবছর পর টাকা দেব। তার পরেও ননদের সঙ্গে একবার আমাদের বাড়ি এসেছিল টাকা চাইতে। একবার মেয়ে বলল, আমাদের বাড়ির কেউ ওর শ্বশুরবাড়ি গেলে জুতো দিয়ে মারবে। এখন আমার মনে হচ্ছে ওকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)