Birbhum: 'বান্ধবীকে' লিখে দিতে হবে বসত ভিটে, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের তাড়া খেয়ে গ্রামছাড়া গৃহবধূ
Birbhum: মহিলার অভিযোগ, ওই ঘটনার পর থেকেই তার স্বামী শাজাহান খাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর ওই মহিলাকে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গ্রাম ছাড়া করা হয়। এমনকি তার সন্তানদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে বগটুই গ্রামের মতো আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হবে বলে মারাত্বক অভিযোগ করেন আক্রান্ত মহিলা।
প্রসেনজিত্ মালাকার: পঞ্চায়েত সদস্যর "বান্ধবীর" পছন্দ হওয়া জমি লিখে দিতে হবে তাঁর নামে। আবদার না মানায় এক মহিলার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে মহিলাকে গ্রামছাড়া করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে। তবে এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি। জমি লিখে না দেওয়া হলে ওই মহিলার ৪ সন্তানকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে বগটুইয়ের মতো পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হবে। এমনও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-
অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যর নাম রিটন খাঁ। তিনি বীরভূমের মুরারই ২ নম্বর ব্লকের জাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারখুর সংসদের তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্য। ঘটনার পর থেকে ২৫ দিন ধরে চার সন্তানকে নিয়ে গ্রামছাড়া আক্রান্ত ওই মহিলা। কখনও রাত কাটছে রেল ষ্টেশনের প্লাটফর্মে, আবার কখনও রাস্তার ধারে ফুটপাতে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রিটন খাঁ।
বীরভূমের পাইকর থানার কামারখুর গ্রামের বাসিন্দা সুখী বিবি। স্বামী শাহাজান সেখ চেন্নাইতে শ্রমিকের কাজ করেন। বিড়ি বেঁধে ৪ নাবালক সন্তানকে নিয়ে কামারখুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার নিজের তিন শতক জমিতে বসবাস করেন তিনি। তার অভিযোগ, কামারখুর গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রিটন খাঁ তার বসত ভিটের জমিটি তার বান্ধবীর নামে লিখে দিতে বলেন। কিন্তু তিনি রিটন খাঁর সেই দাবি মানতে না চেয়ে জমি লিখে দিতে অস্বীকার করেন। এরপরেই রিটন খাঁ তার দলবলের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে মহিলার বাড়ীতে চড়াও হয়ে বাড়ী ভাংচুর করে গুঁড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় মহিলার নাবালক ছেলেকেও। নাবালকের মাথায় ন'টি সেলাই দিতে হয়।
মহিলার অভিযোগ, ওই ঘটনার পর থেকেই তার স্বামী শাজাহান খাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর ওই মহিলাকে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গ্রাম ছাড়া করা হয়। এমনকি তার সন্তানদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে বগটুই গ্রামের মতো আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হবে বলে মারাত্বক অভিযোগ করেন আক্রান্ত মহিলা।
গোটা বিষয়টি পারিবারিক। তবে তা হলেও আইন কারও হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার নেই। তৃণমূলের শাসনে আইনের শাসন নেই। ন্যায়বিচার নেই। তাই মহিলাকে ঘরছাড়া হতে হচ্ছে। এনিয়ে কোনও আইনি সহায়তার প্রয়োজন হলে আমরা তা দেব।