সোনামুখীর ‘মা-ই-তো কালী’র এমন অদ্ভুত নামের ইতিহাস শুনলে অবাক হবেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলা জুড়ে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন কালী মন্দির। তাদের প্রায় প্রতিটি ঘিরেই রয়েছে নানা ইতিহাস আর লোককথা। তেমনই একটি মন্দির সোনামুখীর মা-ই-তো কালী মন্দির।
সোনামুখীর এই মা-ই-তো কালী মন্দিরে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। কিন্তু মন্দিরের এমন অদ্ভুত নাম কেন?
আরও পড়ুন- হাতে নাতে ঈশ্বরের প্রমাণ দেন ধুবুলিয়ার নারায়ণ!
তা জানতে হলে চলে যেতে হবে পৌনে চারশো বছর আগে। সালটা ১৬৪২। বঙ্গে তখন বর্গী আক্রমণ চলছে। তেমনই এক সময়ে সোনামুখীতে আসেন মারাঠা সেনাপতি ভাস্কর পণ্ডিত। বর্গীদের আসার খবরে ভয়ে কাঁপছে গোটা সোনামুখী। তেমনই নিঝুম সন্ধেয় ভাস্কর পণ্ডিত দেখতে পান এক বৃদ্ধকে। হাড়িকাঠের সামনে পুজো করছিলেন তিনি। লোকশ্রুতি, সেই বৃদ্ধকে মারতে খড়গ তুলে ধরেন ভাস্কর পণ্ডিত। সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি হারান ভাস্কর । এর পর ওই বৃদ্ধ মন্দিরের ঘটের জল ছিটিয়ে তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনেন।
আরও পড়ুন- একান্ন পীঠের প্রথম পীঠ তমলুকের বর্গভীমা, কিছু চাইলেই মা নাকি ফেরান না!
লোকশ্রুতি রয়েছে, এরপর ভাস্কর পণ্ডিত চিত্কার করে ওঠেন মা-ই-তো-কালী। আর তারপর থেকেই পুজো চলছে এই প্রাচীন মন্দিরে।
বৃদ্ধের সেই পর্ণ কুটির আজ বিরাট মন্দিরে দাঁড়িয়েছে। যার টানে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা।
আরও পড়ুন- ছোট মেয়ের বায়না মেটাতেই দিন কাবার সাহাবাড়ির