দোকানে স্ত্রীর সামনেই দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন মুদিখানা দোকানের মালিক
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে, হরলাল তাদের কর্মী ছিলেন। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি হরলাল বাবু চিরকালই তাদের দলের কর্মী। যদিও হরলালের পরিবারের সাফ বক্তব্য, কোনওদিই কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার রাতে নিজের দোকানে স্ত্রীর সামনেই খুন হলেন মুদিখানার মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার রানাঘাট থানার কলাইঘাটে। মৃতের নাম হরলাল দেবনাথ(৫৫)। আর সেই খুন কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে স্থানীয় বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে।
স্থানীয়দের মতে, শুক্রবার রাতে হরলাল ও তাঁর স্ত্রী চন্দনা দুজনেই নিজেদের মুদিখানার দোকানে ছিলেন। সেই সময়ে দুই যুবক দোকানে এসে বাদাম চায়। সেই সময়ে হরলাল দোকানের বাইরে ছিলেন। যুবকের কথা মতো বাদাম দেওয়ার সময়েই হঠাত্ই দোকানের সামনে থেকে বিকট আওয়াজ পান। আওয়াজ শুনেই তিনি দোকানের বাইরে বেরিয়ে আসেন। তখনই তিনি দেখেন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন হরলাল। কেউ আসার আগেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতি। গুলিবিদ্ধ হরলালকে প্রথমে রানাঘাট মহুকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিস। এদিকে হরলালের খুনকে ঘিরে তৈরি হওয়া রহস্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে, হরলাল তাদের কর্মী ছিলেন। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি হরলাল বাবু চিরকালই তাদের দলের কর্মী। যদিও হরলালের পরিবারের সাফ বক্তব্য, কোনওদিই কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না।