Katwa: সেতু গিয়েছে ডুবে, প্রসূতি ও সদ্যোজাতকে মাঝরাস্তায় নামিয়ে পালাল মাতৃযান
Katwa:কাটোয়া-করুই রাস্তার উপরে থাকা ফরে নদীর সেতু জলে ভেসে যাওয়ায় প্রসূতি সহ শিশুকন্যাকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছিল মাতৃযানের চালক। প্রসূতির মায়ের আবেদন নিবেদনে চালক কান দেয়নি বলে অভিযোগ
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: মাতৃযানের চালকের গাজোয়ারিতে সদ্যোজাত শিশুকন্যা-সহ প্রসূতির ঠাঁই হল মাঝ রাস্তায়। প্রসূতি মা সহ শিশুকন্যা অসহায় অবস্থায় দেড় ঘন্টা ধরে মাঝ রাস্তায় অপেক্ষা করার পর ফের হাসপাতালের পাঠানো অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন-গো হত্যা বন্ধ না হলে এরকম আরও ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে, ওয়েনাড় ট্রাজিডি নিয়ে মন্তব্য বিজেপি নেতার
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স মাতৃযান করে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অর্জুনডিহির বাসিন্দা নার্গিস খাতুন। কাটোয়া-করুই রাস্তায় সেতু বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যেতে রাজি হয়নি চালক। শিশুকন্যা সহ প্রসূতিকে মাঝরাস্তায় নামিয়ে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চলে যায়।
সদ্যোজাত শিশুকন্যার সঙ্গে থাকা দিদা আসরাফি বিবি বলেন, চালককে ঘুরপথে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেও কোন লাভ হয়নি। অবশেষে সংবাদমাধ্যমের কাছে এই খবর পেয়ে হাসপাতালের সুপার মাতৃযানের এজেন্সির মালিককে ফোন করে ঘটনার কথা বলে ফের মাতৃযান পাঠিয়ে দেয়। ঘন্টা দেড়েক পর নার্গিস খাতুনকে নিয়ে এজেন্সির মালিক ঘুরপথে নার্গিস খাতুনকে নিয়ে অর্জুনডিহির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
কাটোয়া-করুই রাস্তার উপরে থাকা ফরে নদীর সেতু জলে ভেসে যাওয়ায় প্রসূতি সহ শিশুকন্যাকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছিল মাতৃযানের চালক। প্রসূতির মায়ের আবেদন নিবেদনে চালক কান দেয়নি বলে অভিযোগ। অর্জুনডিহির বাসিন্দা নার্গিস খাতুন ৩ দিনের সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে নিয়ে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চানন তলার কাছে অসহায় অবস্থায় বসে থাকেন। আসরফি বিবি সদ্যোজাত শিশুর দিদার অভিযোগ কাটোয়া করুই রাস্তায় জল জমে থাকার কারণে মাতৃযান থেকে নামিয়ে দেয় ওই চালক, তাকে ঘুরপথে নিয়ে যাওয়ার জন্যে বারবার অনুরোধ করা হলেও কোন তোয়াক্কা না করেই নামিয়ে দেয় পঞ্চানন তলার কাছে। মাতৃযান চালককে ফের কাটোয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বললে ২০০ টাকা লাগবে বলে অভিযোগ করেন আসরাফি বিবি। প্রায় দেড়'ঘণ্টা ধরে রাস্তার পাশ প্রসুতি তার শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন।
প্রসূতিদের জন্য হাসপাতালের মাতৃযান পরিষেবা বিনা পয়সায় পাওয়া যায় তাহলে কীভাবে ওই মাতৃযান চালক ২০০ টাকা চাইলো সদ্যোজাত শিশুর কন্যার বাড়ির লোকের কাছে এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। হাসপাতালে সুপার বিষয়টি ফোনের মাধ্যমে জানানো হলে তিনি জানান ওই মাতৃযান চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তদন্ত করে দোষ প্রমাণ হলে লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করা হবে। তিনি আরো বলেন অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রসুতিকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)