রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে চুপ করে ছিলেন রাজ্যপাল, বিদায়বেলায় দায়িত্ব সেরে গেলেন: দিলীপ
রাজ্যপাল হিসাবে নিজের কর্তব্য পালন করতেই সরকারের সমালোচনা করেছেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বিদায়ী রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে এতদিন চুপ করে ছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপাল হিসাবে নিজের কর্তব্য পালন করতেই সরকারের সমালোচনা করেছেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বিদায়ী রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে এতদিন চুপ করে ছিলেন তিনি।
জ়ি ২৪ ঘণ্টাকে দিলীপবাবু বলেন, 'রাজ্যপাল রাজ্যের পরিস্থিতি অনুভব করেছেন। বসিরহাটে সেনা নামাতে বলায় তাঁকে বেনজির ভাবে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উনি কিছু বললেই রাজনৈতিক আক্রমণ শুরু করত বিজেপি। রাজভবন বিজেপির পার্টি অফিস, রাজ্যপাল বিজেপির সভাপতি, এমন মন্তব্যও করেছে তারা। তাই বিতর্ক এড়াতে এতদিন চুপ করে ছিলেন তিনি। আজ বলার দরকার মনে করেছেন, নইলে রাজ্যবাসীর প্রতি অবিচার হতো।'
দিলীপবাবুর বলেন, 'বসিরহাট - বাদুড়িয়া, কালিয়াচক, ধূলাগড়, রানিগঞ্জ, আসানসোলে দাঙ্গা হয়েছে। উনি ঘটনাস্থলে যেতে চেয়েছেন। ওকে যেতে দেওয়া হয়নি। তাই সাধারণ মানুষকে তিনি কথাগুলো বলে গেলেন।'
তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী কারও কথা শোনেন না। তাই পার্থবাবুকে ডেকে বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তৃণমূল তো কারও পরামর্শ নেয় না। তাই যাওয়ার সময় তাঁর পর্যবেক্ষণ রাজ্যবাসীকে বলে গেলেন'
বলে রাখি, রাজ্যপালের মন্তব্যকে স্ববিরোধী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে শাসক তৃণমূল।
আগামী মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কার্যকাল। ওই দিন পরবর্তী রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন তিনি। তার আগে জ়ি ২৪ ঘণ্টাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা গ্রহণের মনোভাব তৈরি করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে কোনও কারণেই রাজ্য সরকারকে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলেননি তিনি।