Ketugram Child Murder:অমানুষিক অত্যাচার করে নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ গৃহকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে, চিলেকোঠায় মিলল লাশ
গ্Ketugram Child Murder রামের কয়েকজনকে নিয়ে সুলতানপুরে রুবির বাড়িতে যান নাবালিকার মা। সেখানে গিয়ে গৃহ কর্ত্রী রুবি খাতুনের কাছ থেকে মেয়ের গলায় দড়ি দিয়ে মৃত্যুর কথা জানতে পারেন বলে জানান নাবালিকার মা ও এলাকাবাসীরা
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: বছর দশের নাবালিকা গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলে গৃহকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে। তিন দিন পর গৃহকর্তার বাড়ির চিলেকোঠার ঘর থেকে উদ্ধার হল নাবালিকার মৃতদেহ। বর্ধমানের কেতুগ্রামের সুলতানপুরের এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খুনে অভিযুক্ত ছেলে ও তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে ছেলের মায়ের ফাঁসির দাবি জানাল নাবালিকার মা-সহ এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন-ডিভোর্স দেওয়ায় হাত কেটে নিয়েছিল স্ত্রীর, শেষপর্যন্ত পাকড়াও স্বামী
জানা যায় কেতুগ্রাম থানার রাইখা গ্রামের বছর দশেকের এক নাবালিকা বাড়ির অর্থিক সঙ্কটের জন্য পাশের গ্রাম সুলতান পুরে রুবি খাতুন নামে এক মহিলার বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করত। গত সোমবার ওই বাড়িতে কাজ করতে যাওয়ার পর আর ওই নাবালিকার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে বারংবার খোঁজ নিলেও খোঁজ মেলেনি নাবালিকার।
কোথায় তার মেয়ে, জিজ্ঞাসা করায় কাজ করে বেরিয়ে গেছে এই কথা সুলতান পুরের ওই পরিবারের পক্ষ থেকে নাবালিকার মাকে জানানো হয়। এমনটাই দাবি নাবালিকার মার। মেয়েকে সোমবার থেকে খুঁজে না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয় নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। থানায় যাওয়ার কথা জানতে পেরে বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ সুলতানপুরের রুবি খাতুনের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানানো হয় নাবালিকার মাকে।
মেয়েকে পাওয়া গিয়েছে শুনে গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সুলতানপুরে রুবির বাড়িতে যান নাবালিকার মা। সেখানে গিয়ে গৃহ কর্ত্রী রুবি খাতুনের কাছ থেকে মেয়ের গলায় দড়ি দিয়ে মৃত্যুর কথা জানতে পারেন বলে জানান নাবালিকার মা ও এলাকাবাসীরা। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ এর আগেও মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিল গৃহ কর্ত্রীর ছেলে। মেয়ের কাছে এই কথা শোনার পর মেয়েকে পুনরায় ওই বাড়িতেই কাজে পাঠায় তার মা।
নাবালিকার মা ও এলাকাবাসীর অভিযোগ তার মেয়েকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেছে মালিকের ছেলে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে তার মা ও বাবাকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিস। কিভাবে নাবালিকার মৃত্যু হল সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিস।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)