khardaha Death: পরকীয়ার জের, খড়দহে স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী

khardaha Death: স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বৃন্দাবন কর্মকার এখানে ভাড়া থাকতেন। ওঁর আসল বাড়ি খড়দহের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ পল্লীতে। ওদের ওখানে ফ্ল্যাট হচ্ছে বলে এখানে থাকছিল। গোটা পরিবারটাই হাসিখুশি পরিবার।

Updated By: Nov 19, 2023, 03:48 PM IST
khardaha Death: পরকীয়ার জের, খড়দহে স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী

বরুণ সেনগুপ্ত: পাড়ার লোকজন তাঁকে একজন হাসিখুশি মানুষ বলেই জানতেন। পাড়ার কালীপুজোয় ঠাকুর দিয়েছিলেন। সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। কিছুদিন আগেই এলাকায় থাকতে এসেছিলেন পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী বৃন্দাবন কর্মকার। তাঁর বাড়িতেই ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা। রবিবার সকালে বৃন্দাবন কর্মকারের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। সেই গন্ধ পেয়েই প্রতিবেশীরা পুলিসে খবর দেন। পুলিসে এসে পরিবারের মোট ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন-জোড়া ঘূর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগরে, কলকাতায় কুড়ির নীচে পারদ এই সপ্তাহেই!

খড়দহের এম এস মুখার্জি রোডে বলরাম হাসপাতালের উল্টোদিকের একটি আবাসনে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতেন বৃন্দাবন কর্মকার। এক ছেলের বয়স ৮ বছর, মেয়ের বয়স ১৬। সকালে পুলিস এসে ফ্ল্যাটের বিভিন্ন ঘর থেকে ৪ জনের দেহ উদ্ধার করে। প্রাথামিকভাবে মনে করা হচ্ছে স্ত্রী, ছেলেমেয়েদের খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন বৃন্দাবনবাবু। কেন এমন কাণ্ড তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে পুলিস সূত্রে খবর, বৃন্দাবনের বাড়ি থেকে একটি নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে বৃন্দাবনবাবুর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা। জানা যাচ্ছে ব্যারাকপুপরে তাঁর কাপড়ের দোকানটি বিক্রি করে দিয়েছেন বৃন্দাবন কর্মকার।

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বৃন্দাবন কর্মকার এখানে ভাড়া থাকতেন। ওঁর আসল বাড়ি খড়দহের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ পল্লীতে। ওদের ওখানে ফ্ল্যাট হচ্ছে বলে এখানে থাকছিল। গোটা পরিবারটাই হাসিখুশি পরিবার। এখানে একটা কালীপুজো হয়। উনি ঠাকুরটা দেন। শুনেছি ব্যারাকপুরে ওঁর একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। আজ ওদের ঘরে থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল। প্রতিবেশীরা স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। তিনি আবার পুলিসকে জানান। পুলিসে এসে দরজা ভাঙে। ঘর থেকে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বৃন্দাবন কর্মকারের আনুমানিক বয়স ৫০-৫২ বছর, ওঁর স্ত্রীর বয়স হবে আনুমানিক ৪০, ওঁর একটি মেয়ে ছিল এবার উচ্চমাধ্যমিক দেবে। আট বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।
কী কারণে এমন কাণ্ড তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

স্থানীয় পৌরমাতা নিলু সরকার বলেন, আমার বিধায়ক ফোন করেছিলেন। বললেন বলরাম হাসপাতালের উল্টোদিকে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর নাম বৃন্দাবন কর্মকার। উনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এখানে এসে শুনলাম উনি কালীপুজোয় মূর্তি দিয়েছিলেন। সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। মর্মান্তিক ঘটনা। কেন এরকম হল তা বোঝা যাচ্ছে না। ওরা স্বামী-স্ত্রী যা করলেন করলেন। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের মেরে ফেললেন! বুঝতে পারছি না।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

.