Coromandel Express Accident: গ্রামে পাকা বাড়ি তুলবে, কিন্তু আর ঘরে ফেরাই হল না ছোট্টুর...

Coromandel Express Accident: দুর্ঘটনাস্থল থেকে ফোন করে ছেলের মৃত্যুর খবর জানাতে হলে বাবাকে! দুঃসহ এক অভিজ্ঞতা। বাবাই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবার। একটু বেশি রোজগারের আশায়। এই প্রথম। ভিনরাজ্যে হাতেখড়ি হত ছেলের। তার আগেই এল মৃত্যু।

Edited By: সৌমিত্র সেন | Updated By: Jun 3, 2023, 01:57 PM IST
Coromandel Express Accident: গ্রামে পাকা বাড়ি তুলবে, কিন্তু আর ঘরে ফেরাই হল না ছোট্টুর...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাবার সঙ্গে যাচ্ছিলেন কেরালায়। আশা ছিল কাজ করে ফিরে এসে পাকা বাড়ি তুলবে গ্রামে। তার সেই আশা কিন্তু আর পূর্ণ হল না। বাবা প্রাণে বাঁচলেও প্রাণ হারাল বছর আঠারোর ছোট্টু সর্দার।

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন কাটোয়ার করুই গ্রামের ছোট্টু সর্দার। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ফোন করে ছেলের মৃত্যুর খবর জানালেন বাবা সুখলাল সর্দার। পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, সুখলাল সর্দার দীর্ঘদিন ধরে কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। একটু বেশি উপার্জনের আশায় এই প্রথম ছেলে ছোট্টুকে সঙ্গে করে রাজমিস্ত্রির কাজ করানোর জন্য কেরালা নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ছোট্টুর।

আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident: হঠাৎই তীব্র ঝাঁকুনি! মুহূর্তের মধ্যে ট্রেন থেকে বাইরে ছিটকে পড়ল আশিস...

কাটোয়ার করুই গ্রাম থেকে দশ-বারো জনের একটি দল রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে কেরালায় যাচ্ছিল। ওই দলে ছিলেন বছরচল্লিশের সঞ্জয় সর্দার, বছর আঠারোর ছোট্টু সর্দার, বছর আটত্রিশের সুখলাল সর্দার, ৩৬-এর সৃষ্টি রায়, ২৭ বছর বয়সি সমীর রায়। এঁরা গতকাল, শুক্রবার বেলা ৩টের সময় শালিমার স্টেশন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরেছিলেন। সেই ট্রেন গতকাল সন্ধেবেলা দুর্ঘটনার শিকার হয়। সুখলাল সর্দার ও ২৭ বছর বয়সী সমীর রায় গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সঞ্জয় সর্দার, সৃষ্টি রায়ের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident: ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে বলিউড থেকে টলিউড, সমবেদনা জানালেন জুনিয়র এনটিআর-সলমান-অক্ষয়-জিত- ঋতুপর্ণা-সৃজিত

ছোট্টু সর্দারের বাবার ফোন থেকে জানা যায়, ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় তাঁর ছেলে ছোট্টু মারা গিয়েছেন!এই ঘটনার  খবর আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামে।

দুর্ঘটনার পরই একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়ার হেল্পলাইন নম্বর - ০৩৩ ২৬৩৮২২১৭, খড়গপুরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯, বালেশ্বরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২, শালিমারের হেল্পলাইন নম্বর - ৯৯০৩৩৭০৭৪৬, চেন্নাইয়ের হেল্পলাইন নম্বর - ০৪৪ ২৫৩৩০৯৫২/০৪৪-২৫৩৩০৯৫৩/০৪৪-২৫৩৫৪৭৭১, ভদ্রক- ৮৪৫৫৮৮৯৯০০, কেওনঝড় রোড- ৮৪৫৫৮৮৯৯০৬, কটক- ৮৪৫৫৮৮৯৯১৭, ভুবনেশ্বর- ৮৪৫৫৮৮৯৯২২, খুরদা রোড- ৬৩৭০১০৮০৪৬। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.