বর্ষশেষে ছুটির ডেস্টিনেশন হোক কাঁকড়াঝোর জঙ্গল
জঙ্গলমহলের নিজস্ব সংস্কৃতি দিয়ে সাজানো সাদামাঠা বাড়ি। গোটাটাই মাটির। শহুরে লোকজন এসে এখানেই উঠছেন। সফিস্টিকেটেড মোজেইক টালির মেঝে, এসি, রুম হিটার, হোটেলের অনেক সুযোগ সুবিধাই এখানে নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাঁকড়াঝোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ। জঙ্গলমহল যাবেন অথচ কাঁকড়াঝোড় দেখবেন না, এরকম হয় না বললেই চলে। কিন্তু একবেলার জন্য গিয়ে অনেকের আশ মেটে না। কাঁকড়াঝোরের বুকে রাতে ঝিঁঝিঁর ডাক যাদের হাতছানি দেয়, তাদের জন্য সুখবর। হোমস্টের ব্যবস্থা চালু হয়েছে অরণ্য সুন্দরীর বুকে।
অরণ্যের এক অদ্ভুত নেশা। সেই নেশার টানে অরণ্যপ্রেমীরা ছুটে যান সবুজের এক সাম্রাজ্য থেকে আরেক সাম্রাজ্যে। অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামের কোলে লাল মাটির দেশ। শাল, সেগুন, মহুয়া, পিয়ালের সারি দিয়ে সাজানো। ঘাটশিলার ২৫ কিলোমিটার আগে কাঁকড়াঝোরই হতে পারে বড়দিনের ছুটিতে আপনার নতুন ডেস্টিনেশন। কারণ এখানে থাকার ব্যবস্থাও আছে।
আরও পড়ুন- শীতে আনন্দের উষ্ণতা পেতে ঢুঁ মেরে আসুন শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে
জঙ্গলমহলের নিজস্ব সংস্কৃতি দিয়ে সাজানো সাদামাঠা বাড়ি। গোটাটাই মাটির। শহুরে লোকজন এসে এখানেই উঠছেন। সফিস্টিকেটেড মোজেইক টালির মেঝে, এসি, রুম হিটার, হোটেলের অনেক সুযোগ সুবিধাই এখানে নেই। কিন্তু তার জন্য কোনও আক্ষেপ নেই পর্যটকদের।
আরও পড়ুন- এ যুগের বাঘা যতীন! ঘুসির ঘায়ে বাগে এল বাঘ
বাংলা সিনেমা চারমূর্তির গাড়োয়ান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন গোপীনাথ মাহাতো। তাঁর বাড়িতেই গড়ে উঠেছে হোমস্টে। জঙ্গলমহলে পর্যটনের আকর্ষণ বাড়াতে হোমস্টে গড়ার ওপর জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। গোপীনাথ মাহাতোর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা সেই পথ খুলে দিল।