Bardhaman: অকাল বর্ষণে পাকা ধানের জমিতে দাঁড়িয়ে জল, মাথায় হাত বর্ধমানের চাষীদের
এমনিতেই জেলার আউশগ্রাম ও গলসি এলাকার চাষীরা সাঁড়াশি আক্রমণে নাজেহাল। একদিকে টানা বৃষ্টি তো অন্যদিকে এলাকায় হাতির পালের দাপাদাপি
নিজস্ব প্রতিবেদন: যেন পাকা ধানে মই। টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের কৃষকদের মাথায় হাত। জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে কাটা ধানের জমিতে। অনেক জায়গায় ধান শুয়ে পড়েছে জমিতে। ফলে উৎপাদন কমে যাওয়ার শঙ্কায় কৃষকরা। অকাল বৃষ্টিতে আলু বসানোর কাজও ফের পিছিয়ে গেল। আলুর জমি সবে তৈরি হয়েছে। কিন্তু তিনদিনের বৃষ্টিতে জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন কৃষকেরা।
আরও পড়ুন- Nandigram case: 'হাইকোর্টের বিচারে অনাস্থা', শুভেন্দুর লিখিত বয়ানের নির্দেশ, পিছোল শুনানি
এমনিতেই জেলার আউশগ্রাম ও গলসি এলাকার চাষীরা সাঁড়াশি আক্রমণে নাজেহাল। একদিকে টানা বৃষ্টি তো অন্যদিকে এলাকায় হাতির পালের দাপাদাপি। বৃহস্পতিবার দামোদর নদ পেরিয়ে বাঁকুড়া থেকে ৪৮ টি হাতির পাল গলসিতে প্রথম ঢোকে। তারপর পাঁচদিন ধরে আউশগ্রামে তাণ্ডব চালালেও এখনও ফেরানো যায়নি হাতির পালটিকে। কয়েক হাজার বিঘের পাকা ধানে চরম ক্ষতি হয়েছে।
জেলার রায়না, খণ্ডঘোষ, ভাতার-সহ সব জায়গাতেই বৃষ্টি হওয়ায় আমন ধানের উৎপাদন মার খাবে। এমনটাই মনে করছেন চাষিরা। এই সবে ধান কাটার মরশুম শুরু হয়েছে। তারমধ্যে অকাল বর্ষণে নাজেহাল কৃষকরা। স্বর্ণ প্রজাতির ও খাস ধানের জমিতে চরম ক্ষতি হবে বলে জানান কৃষকেরা।
এবছর বর্ষা দেরিতে বিদায় নেওয়ায় চাষীরা আলুর জমি তৈরি করতে পারেননি। পোখরাজ জাতের আলু চাষও এবার পিছিয়ে গিয়েছে। সবেমাত্র জেলার শক্তিগড়, বড়শুল এলাকার জমিতে পোখরাজ প্রজাতির আলুর বীজ জমিতে বসানো হয়েছে। সেই জমিতেও জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ফলে আলুবীজ নষ্ট বা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।