Burdwan: স্কুলে স্যানিটাইজার টানেল বসানো নিয়ে হেনস্থার শিকার শুভশ্রী গাঙ্গুলির বাবা
হাতে বন্দুক, লাঠি ও রড নিয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ চালায়। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই দেবপ্রসাদবাবু দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : স্কুলে স্যানিটাইজার টানেল বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষের জেরে আহত ৩ তৃণমূল কর্মী। একইসঙ্গে টলিউডের নায়িকা শুভ্রশ্রী গাঙ্গুলির বাবা তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুর দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলিকে হেনস্থার অভিযোগও উঠল। অভিযোগের আঙুল বর্ধমান পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ আলি ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলির শ্যালিকা অনাবাসী ভারতীয় অনিতা গাটকারি স্থানীয় দুটি স্কুলে স্যানিটাইজার টানেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেইমত দেবপ্রসাদ বাবু বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্ধমান দুবরাজদীঘি হাইস্কুল ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে যোগাযোগ করেন। দেবপ্রসাদবাবুর দাবি, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই তাঁর শ্যালিকা ও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এদিন সকালে দুবরাজদীঘি হাইস্কুলে স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগাতে যান। তাঁর অভিযোগ, সেই সময় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ আলি ও তাঁর ভাইপো তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা নুরুল আলম তাঁদের স্যানিটাইজার টানেল লাগাতে বাধা দেন। ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি না নিয়ে কারও ব্যক্তিগত নামে স্যানিটাইজার টানেল স্কুলে লাগানো যাবে না বলে আপত্তি জানান তাঁরা।
অভিযোগ, এই নিয়ে বাগবিতণ্ডার মধ্যেই মহম্মদ আলি ও নুরুল আলমের নেতৃত্বে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁদের উপর চড়াও হয়। হাতে বন্দুক, লাঠি ও রড নিয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ চালায়। দেবপ্রসাদ বাবুর সঙ্গে থাকা শেখ হায়দার আলি, শেখ খোকন, শশীরাম ও গোবিন্দা মাল নামে ৪ তৃণমূল কর্মী আহত হয়। স্যানিটাইজার টানেলটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই দেবপ্রসাদবাবু দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। নিজেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার বলে দাবি করেছেন দেবপ্রসাদ বাবু।
যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল আলমের পাল্টা দাবি, উনি কোনও অনুমতি ছাড়া-ই ব্যক্তিগত একজনের নামে স্যানিটাইজার টানেল লাগাতে এসেছিলেন। কোনও সরকারি স্কুলে কাজ করাতে গেলে ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। উনি তা না করে গায়ের জোরে এলাকায় নিজের কর্তৃত্ব তুলে ধরতে এই কাজ করতে এসেছিলেন। তাই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটিতে আলোচনা হওয়ার পর-ই স্যানিটাইজার টানেল লাগানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিজেকে দুবরাজদীঘি হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বলেও দাবি করেন নুরুল আলম।
তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবকুমার মালিক স্পষ্ট জানিয়েছেন, "দেবপ্রসাদ বাবু আমার কাছে স্যানিটাইজার টানেল লাগানোর জন্য লিখিত আবেদন করেছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে আমি ওনাকে এটি করতে বলেছিলাম। যেটা ঘটল, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।"
আরও পড়ুন,পুরভোটে টিকিট পেতে লাগবে ১ লক্ষ টাকা, সুকান্তর সঙ্গে যোগাযোগের দাবি BJP নেতার!
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)