উলুবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইভিএম উদ্ধার, ঘটনায় সাসপেন্ড এসআই ও ৩ হোমগার্ড
সেক্টর অফিসারের সাফাই, ভোটের কাজে দেরি হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় সেক্টর অফিস। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্টর অফিসার তাঁকে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে বলেন। ঘটনাচক্রে তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষ তাঁর আত্নীয়। জানানো হয়েছে ওই VVPATগুলি আর ব্যবহৃত হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল নেতার বাড়িতে উদ্ধার একাধিক ইভিএম। ঘটনা ঘিরে উলুবেড়িয়া উত্তরের তুলসিবেড়িয়ায় তুমুল উত্তেজনা। পুলিসের লাঠিচার্জ। প্রতিবাদে পুলিস ও বিডিও-কে ঘিরে বিক্ষোভ। গতরাতে তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ইভিএম মেলে। এরপরই গাতাইত পাড়ার বাড়ি ঘিরে ফেলেন স্থানীয়রা। সেক্টর অফিসার ও বাড়ি মালিককে আটকে রেখে পুলিসে খবর দেওয়া হয়।
সেক্টর অফিসারের সাফাই, ভোটের কাজে দেরি হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় সেক্টর অফিস। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্টর অফিসার তাঁকে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে বলেন। ঘটনাচক্রে তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষ তাঁর আত্নীয়। জানানো হয়েছে ওই VVPATগুলি আর ব্যবহৃত হবে না।
আরও পড়ুন: শ্যামপুরে ভোটারদের প্রভাবিত করতে বুথের মুখে বিক্ষোভ করানো হচ্ছে, অভিযোগ তনুশ্রীর
এই ঘটনায় পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর এবং ৩ জন হোমগার্ডকে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া সাব ইন্সপেক্টরের নাম সুজিত চক্রবর্তী। বাকি ৩ হোমগার্ডের নাম এস কে মণি, স্বর্ণেন্দু শাসমল ও সুদীপ সরকার। সাসপেন্ড করার পাশাপশি তাঁদের কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত যে সব জিনিস তাঁদের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এর আগে এই ঘটনায় সেক্টর অফিসার তপন সরকারকেও সাসপেন্ড করেছে কমিশন।
১৭৭ নম্বর বিধানসভা কেন্দ্র উলুবেড়িয়া উত্তর। সেক্টর অফিসার চারটে ই ভি এম নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিল। এই খবর ছড়াতেই ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করেন গ্রামবাসীরা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সেখানে উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও এলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এরপর এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী আসে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করে পুলিস। তাঁকে সাসপেন্ড করলো নির্বাচন কমিশন। সব রাজনৈতিক দলকে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই চারটে ই ভি এম ব্যবহার করা হবে না।