ফিল্মি কায়দায় অভিনব প্রতারণা, পুলিসের জালে 'ভুয়ো' জিএসটি আধিকারিক
শেষ রক্ষা আর হল না,পুলিসের জালে কাকা-ভাইপো।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জিএসটি আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে তোলা আদায়, পুলিসের জালে কাকা ভাইপো। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।নিজেদের জি. এস. টি আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি দেখলেই কাগজপত্র দেখতে চাইতেন বাসুদেব পাল, নিজেরই ভাইপো জগদীশ পাল, এমনটাই অভিযোগ।
যদিও এই ঘটনায় শেষ রক্ষা আর হল না,পুলিসের জালে কাকা-ভাইপো। পুলিস সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত বাসুদেব পাল দুর্গাপুরের এক জি. এস. টি আধিকারিকের গাড়ি চালান। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিলেন বাসুদেব পাল। আধিকারিক গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার পর সেই গাড়িতে নিজেরই ভাইপো জগদীশ পালকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়ে নিজে জি. এস. টি অধিকারিকের সিটে চেপে বসত। এরপর শুরু হতো রাস্তা জুড়ে কাকা ভাইপোর দাপাদাপি।
অভিযোগ, নিজেকে জিএস. টি আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে চলত পণ্যবাহী গাড়ীর চেকিং। কাগজপত্রর সামান্য ত্রুটি থাকলেই চলত টাকা আদায়। গতকাল রাতে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত এ. এস. বি মোড়ের কাছে একটি গাড়ি আটকায় জগদীশ পাল। এরপর কাকাকে দেখিয়ে বলে কাগজপত্র দেখাতে, কিন্তু গাড়ীর চালকের সন্দেহ হয়। চালক রাস্তায় টহলরত পুলিসকে সব জানায়,কোকওভেন থানার পুলিস দুই অভিযুক্তের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় বাসুদেব পাল ও জগদীশ পালকে গ্রেফতার করে।
যদিও পুলিসি জেরাতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয় কাকা ভাইপো। ভুল করে ফেলেছে বলে সাফাই দেয় কাকা ভাইপো। কোকওভেন থানার পুলিস শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলে দুই অভিযুক্তকে। আদালতে আবেদন জানিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিস ধৃতদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করবে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে আরো বড় কোনো মাথা এদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশে টাকা তছরুপের অভিযোগ, রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশিতে ED