করোনায় স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুতে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ-সহ একাধিক দাবিতে পথে চিকিৎসকরা
বৃহস্পতিবার NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস ডক্টরস, ডক্টরস ফর ডেমোক্রেসি এবং শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ-সহ তিন সংগঠন প্রতিবা-অবস্থান করেন।
তন্ময় প্রামাণিক: করোনার কোপে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে বহু চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর। আক্রান্তও বহু। আর এবার তাঁদের সুরক্ষার্থে সোচ্চার হয়ে পথে নামল তিন চিকিৎসক সংগঠন। এ দিন বেশ কয়েক দফার দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস ডক্টরস, ডক্টরস ফর ডেমোক্রেসি এবং শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ-সহ তিন সংগঠন প্রতিবাদ-অবস্থান করেন।
চিকিৎকরা যা দাবি করছেন...
১. সরকারি, বেসরকারি সমস্ত চিকিৎসক- স্বাস্থ্যকর্মীকে, সরকার ঘোষিত আর্থিক সহায়তা দিতে হবে।
২. নন কোভিড হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. সংক্রমিত সমস্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার পূর্ণ দায় সরকারকে নিতে হবে।
৪. চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী নিগ্রহে সমস্ত ক্ষেত্রে মেডিকেয়ার-২০০৯ আইন প্রয়োগ করতে হবে।
৫. বন্ড/ চুক্তির চিকিৎসকদের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।
৬. কোভিড ডিউটির সময়কাল, প্রতিশ্রুতি মত, বন্ডের মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়ার আদেশনামা বের করতে হবে।
৭. কোভিড যুদ্ধের সৈনিক চিকিৎসক এবং সমস্ত স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে, রাজ্যের নানা প্রান্তে উন্নত পরিকাঠামো যুক্ত ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল গড়তে হবে।
ডক্টরস ফর ডেমোক্রেসির প্রেসিডেন্ট সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা রাস্তায় নেমেছি। শুধু করোনা চিকিৎসায় যুক্ত যাঁরা সেই চিকিৎসক, নার্স বা কর্মী নন, যাঁরা নন-কোভিড চিকিৎসায় যুক্ত আছেন, তাঁরাও করোনা আক্রান্ত হলে এক লক্ষ টাকা এবং তাঁদের মৃত্যু হলে ৫০ লক্ষ টাকা করে মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। পাশাপাশি এই সমস্ত কোভিড যোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল ও পরিকাঠামো দিক সরকার।"
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস ডক্টরস সংগঠনের সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, "সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা কোভিড বা নন -কোভিড যাই হোক না কেন, যেখানে যাঁরা মানুষের সেবায় যুক্ত আছেন আক্রান্ত হলে তাঁদের সকলের নিরাপত্তা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক সরকার।" তিনি আরও বলেন, "আক্রান্ত হলে সরকার ঘোষিত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। মৃত্যু ঘটলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক। সরকারি বা বেসরকারি কিংবা কভিড বা নন-কভিড বাচবিচার যেন না করা হয়। না হলে বড় আন্দোলনের দিকে আমরা হাঁটব।"