চিকিত্সক নিজেই মনোরোগী! ভুল চিকিত্সার ভয়ে আত্মহত্যা
এক চিকিত্সকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই চিকিত্সক নিজেই একজন মনোরোগী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান মানসিক চাপেই অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই চিকিত্সক।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এক চিকিত্সকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই চিকিত্সক নিজেই একজন মনোরোগী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান মানসিক চাপেই অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই চিকিত্সক।
মৃত চিকিত্সকের নাম শৈবাল কিশোর রায়। ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি উলুবেড়িয়া হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী জানিয়েছেন, অবসরের পরেও তাঁকে চাকরি করতে হচ্ছিল। স্বেচ্ছাবসর চেয়েও পাননি শৈবাল কিশোর রায়। বর্তমানে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন, রবিবারই ছিল বিয়ে! সর্বগ্রাসী আগুনে উজাড় সংসার বাঁধার স্বপ্ন
উলুবেড়িয়ার পার্ক অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। দম্পতির এক ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাথরুমে যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও কোনও সাড়াশব্দ মিলছিল না শৈবালবাবুর। এরপরই লোক ডেকে দরজা ভাঙেন শৈবালবাবুর স্ত্রী। দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় শৈবালবাবুর অচৈতন্য দেহ। উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন, বৌদির সঙ্গে স্বামীর প্রেম! বাধা দিতেই খুন স্ত্রী
স্ত্রী জানিয়েছেন, শৈবালবাবু নিজে একজন মনোরোগী ছিলেন। নিজে রোগী হয়ে অন্য রোগীর চিকিত্সা কী করে করবেন, এই নিয়ে সবসময়ই অবসাদে থাকতেন তিনি। ভয় পেতেন, যদি ভুল চিকিত্সা করে ফেলেন। এইসব কিছু নিয়েই অত্যন্ত মানসিক চাপে ভুগতেন শৈবালবাবু। এরপরই এদিন এই ঘটনা ঘটল।