নির্বাক বিবাহে' বাক্যহারা বীরভূম
হ্যাঁ। বরও মুক ও বধির। ঈশ্বরপুরের মেয়ে তুলসি শর্মার মতো শুভেন্দু সাহাও বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তবে তাঁদের এই পরিণয় কিন্তু রীতিমতো প্রণয়ের পরিণতি। তা বলে সুদূর ছত্রিসগঢ়ের শুভেন্দুকে কী ভাবে খুঁজে পেলেন তুলসি?
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তুলসি এবং শুভেন্দু। মঙ্গলবার বীরভূমের আহমেদপুরের ঈশ্বরপুর গ্রাম যেন সাজো সাজো রব। শর্মা পরিবারের একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা! বর বিয়ে করতে এসেছেন সুদূর ছত্তিসগঢ়ের বিলাসপুর থেকে। বর এবং বরযাত্রী যখন ঈশ্বরপুরে পৌঁছল, তখন মহা ধুমধাম। ফাটল বাজি। চলল নাচা-গানা। এরপর ছাদনা তলায় বসে শুভদৃষ্টি, সাত পাকে ঘোরা- বিয়ের যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান সবই সম্পন্ন হয় সুষ্ঠভাবে। তবুও কোথাও যেন রহস্য দানা বাঁধতে থাকে এমন আনন্দের আবহেও। বিয়েতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে কানাঘুষো চলে সারাক্ষণ। তবে, বরও কি...
আরও পড়ুন- মুকুলের খাসতালুকে ভাঙন রুখতে কাউন্সিলরদের নিয়ে গোপন ক্লাস তৃণমূলে
হ্যাঁ। বরও মুক ও বধির। ঈশ্বরপুরের মেয়ে তুলসি শর্মার মতো শুভেন্দু সাহাও বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তবে তাঁদের এই পরিণয় কিন্তু রীতিমতো প্রণয়ের পরিণতি। তা বলে সুদূর ছত্রিসগঢ়ের শুভেন্দুকে কী ভাবে খুঁজে পেলেন তুলসি? উচ্চমাধ্যমিক পাশ তুলসি ইশারায় বলেন, "ফেসবুকই শুভেন্দুকে আমার কাছে এনে দিয়েছে। পাঁচ মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় শুভেন্দুর সঙ্গে। তারপর প্রেম।" মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলের মাধ্যমে ইশারায় চলে প্রেমপর্ব। পরে দু'জনই বাড়িতে জানান তাঁদের সম্পর্কের কথা। চারহাত এক করতে দেরি করেননি পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- বন্যপ্রাণ রক্ষায় অনন্য নজির গড়লেন চা শ্রমিক
তবে, এমন 'নির্বাক বিবাহ' দেখে অবাক হলেও খুশি পাড়া প্রতিবেশীরা। এক আমন্ত্রিতের কথায়, "এমন বিয়ে সত্যিই এর আগে দেখিনি, তবে ওদের সম্পর্কের রসায়নে অভিভূত।"
কিন্তু তুলসি ও শুভেন্দু-র মনে মনে কী বলছেন জানেন? "একই সূত্রে বেঁধে দেওয়ার জন্য, ফেসবুককে ধন্যবাদ।"